उळै ভকিউদ্দিন আবদুর রহমান— ভারতবর্ষে মুসলমান রাজ্য স্থাপিত হইবার বহু পূৰ্ব্ব হইতে, আরব দেশীয় মুসলমানের ভারতবর্যে বাণিজ্য করিতে আসিয়া, দীক্ষিণাত্যের বহু বন্দরে বাসস্থান স্থাপন করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । র্তাহারা প্রধানতঃ আরব দেশীয় অশ্বই বেশীর ভাগ বিক্রয় করিতেন । আরব দেশের অন্তর্গত কিস প্রদেশের অধিপতি জামাল উদিনের ভারতে অশ্ব বিক্রয়ের বিস্তৃত ব্যবসায় ছিল। খ্ৰী: ব্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে এই ব্যবসায় পর্যবেক্ষণ করিবার জন্য তিনি স্বীয় ভ্রাতা তকিউদ্দিন আবদুর রহমানকে প্রেরণ করেন । তিনি তাম্রপণী নদীর মোহানায়স্থিত কয়েল বন্দরে অবস্থান করিয়া বাণিজ্যের তত্ত্বাবধান করিতেন । এই স্থানে পূৰ্ব্ব দেশীয় চীনা ব্যবসায়ী ও পশ্চিম দেশীয় পারস্ত, খোরাসান, মিশর প্রভৃতি দেশের বণিকেরা সমাগত হইতেন । এই স্থানে তকিউদিন ১৩০৩ খ্ৰীঃ অব্দে পরলোক গমন করিলে, তাহার পুত্র সিরাজউদ্দিন সেই পদ প্রাপ্ত হন । সিরাজউদিনের পরে তৎপুত্র নিজামউদিন পিতৃ পদে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। ভক্তসিংহ—ধোগপুরের রাজা মানসিংহ ১৮৪৩ খ্ৰীঃ অব্দে অপুত্রক পরলোক গমন করিলে, রাজ্যের সর্দারের ও ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট অজিত সিংহের বংশ ধর, আহম্মদনগরের রাজ তক্তসিংহকে যোধপুরের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করেলেন । তিনি সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের যথেষ্ট উপকার করির ছিলেন । তিনি ১৮৭৩ খ্ৰীঃ অব্দে পরলোক গমন করিলে পর, তাহার পুত্র যশোবন্ত সিংহ রাজা হইয়া ছিলেন । তণ্ডিপা—একজন প্রসিদ্ধ সিদ্ধাচার্য্য । জ্যোতিরীশ্বর প্রণীত বর্ণরত্না করে তাহার উল্লেখ আছে । তথাগত—একজন জৈন দার্শনিক পণ্ডিত। ধৰ্ম্মভূষণ নামক দিগম্বর জৈন পণ্ডিত তাহার দ্যায়দীপিক নামক দার্শনিক গ্রন্থে তথগিতের উল্লেখ করেন । তথাগত গুপ্ত—বুদ্ধদেবের নির্বাণের পরে শক্রাদিত্য, বুদ্ধগুপ্ত, তথাগত গুপ্ত, বালাদিত্য ও বজ্র নামক পাচজন রাজা, নালন্দায় পাঁচটা সজঘারাম বা মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । তথাগত রক্ষিত-তিনি একজন সহজাচার্য্য বৌদ্ধাচার্য । তিববতীয় টেঙ্গুর গ্রন্থে তাহার উল্লেখ আছে । তল কোয়াং–একজন চীনদেশীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসী । তিনি চীন দেশ হইতে জল পথে ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন। বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান লাভ ও বৌদ্ধ তীর্থ দৰ্শন তাহার উদেখ ছিল । তিনি প্রথমে হরিকেল দেশে
পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।