পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকনাথ । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তে প্রদান করেন। ঐ সম্পত্তির আয় হইতে এদেশীয় কৃতী ছাত্রদিগকে উক্ত দুই বিষয় শিক্ষার জন্য নানাভাবে সাহায্য করিবার ব্যবস্থা হইল। তদ্ভিন্ন দুই বিষয় শিক্ষা দিবার জন্ত দুইজন অধ্যাপক নিয়োগেরও ব্যবস্থা হইল এবং অধ্যtপনার জন্ত একটি বিজ্ঞানাগারও ( Science Laboratory) off:ffs হইল। তিনি দানপত্রে একটি সৰ্ব করিয়াছিলেন যে অধ্যাপনার জন্ত যোগ্য ভারতীয় অধ্যাপকই নিযুক্ত করিতে হইবে। ঐরাপ যোগ্য অধ্যাপক সকল সময়ে পাওয়া না গেলে, মেধাবী ও কৃতী অধ্যাপককে অধিকতর শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভের জন্ত বিদেশে প্রেরণ করিয়া উপযুক্ত করিয়া তুলিতে হইবে । তারকনাথের এই বিজ্ঞানাগার পরবর্তীকালে অপর দানবীর সার রাসবিহারী ঘোষের বহু লক্ষ মুদ্রা দান লাভে পুষ্ট হইয়া, ভারতের একটা শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানামুশীলন কেন্দ্র হইয়াছে। (রাসবিহারী ঘোষ দ্রষ্টব্য )। ১৯১৪ খ্ৰীঃ অব্দের অক্টোবর মাসে (১৩২১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন) এই দানবীর মানবলীলা সংবরণ করেন । তারকনাথ প্রামাণিক-কলিকাত৷ নিবাসী প্রসিদ্ধ দানবীর ও ব্যবসায়ী । জীবনী-কোষ ግዓ8 প্রমাণিক বংশ প্রভূত ধনের অধিকারী হন । ইহঁদের পূর্ব নিবাস হুগলী জিলার অন্তর্গত প্রসিদ্ধ সপ্ত গ্রামের নিকটবৰ্ত্তী মিরকলা সাহাগঞ্জ নামক স্থানে ছিল । খুব সম্ভব তারকনাথের পিতামহ মদনমোহনই প্রথম ব্যবসায় উপলক্ষে কলিকাতায় আগমন করেন। মদনমোহনের জ্যেষ্ঠ পুত্র গুরুচরণ প্রামাণিক কলিকাতার অন্যতম খ্যা তনাম ব্যবসায়ী হইয়াছিলেন। এদেশবাসীদের মধ্যে তিনিই প্রথম জাহাজ সারাইবার জন্ত কারখানা ( Dock ) স্থাপন করেন। ঐ কারখানা হইতে তিনি প্রচুর লাভবান হইতেন । গুরুচরণ অমায়িক স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ ও দাতা ছিলেন । একবার শীতকালে তিনি এক সহস্ৰ ব্রাহ্মণকে শীত বস্ত্র দান করেন । যতদিন তাহা দিতে পারেন নাই, ততদিন নিজেও মূল্যবান শীতবস্ত্র ব্যবহার করিতেন না । মৃত্যুকালে তিনি বহু লক্ষ টাকার সম্পত্তি ও বিস্তৃত ব্যবসায় রাথিয়া যান। তারকনাথ তাহার একমাত্র পুত্র ছিলেন । ১২২৩ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে ( ১৮১৬ খ্ৰীঃ সেপ্টেম্বর ) কলিকাতার পৈতৃকভবনে তারকনাথের জন্ম হয়। র্তাহার জন্মের পূৰ্ব্বেই গুরুচরণের ব্যবসায় অতি বিস্তৃতি লাভ করিয়াছিল । পুত্রের জন্মের পর উহার আরও পুরুষানুক্রমে ব্যবসায় পরিচালনা করিয়৷ শ্ৰীবৃদ্ধি হওয়াতে ‘পদ্মমন্ত বলিয়া