পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারানাথ করিতে প্রয়াস পান এবং জীবদ্দশাতেই সম্পত্তি পৃথক করিয়া দেন। কালিদাস অসাধারণ পণ্ডিত হইলেও, বিষয় বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন । পুৰ্ব্বপুরুষদের উপার্জিত সম্পত্তি নিজ চেষ্টায় প্রভূত বৰ্দ্ধিত করেন। তারীনাথ সেজন্য প্রথম জীবনে কখনও অর্থাভাব বোধ করেন न३ि । ংসারক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়। তারানাথ কিন্তু পিতার পদাঙ্কাকুসরণ করিয়া চতুষ্পাঠী খুলিলেন না। ঐ সময়ে কালন একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান ছিল । তিনি কলিকাতা হইতে স্থত। আমদানী করিয়৷ তদ্বার। বস্ত্র বয়ন করাইতেন এবং ঐ বস্ত্র বিক্রয়াদির জন্য দোকান খুললেন । ক্রমে তাহার ব্যবসায় স্পৃহা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হওয়ায় তিনি নানাদিকে নানাভাবে ব্যবসায় বিস্তৃত করিতে লাগিলেন । বলা বাহুল্য কালিদাস পুত্রের এই বৈগুজনোচিত কাৰ্য্য আদৌ অনুমোদন করেন নাই । ১৮৪৫ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি কলিকাতার সংস্কৃত কলেজে ব্যাকরণের অধ্যাপক নিযুক্ত হন । তাহার পূৰ্ব্বে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ঐ কৰ্ম্ম প্রাপ্তিতে তাহাকে বিশেষ সাহায্য করেন। সরকারী চাকুরীর নিয়মানুসারে ব্যবসায় করিতে অনধিকারী হওয়ায়, তিনি অতঃপর মধ্যম পুত্রের নামে ব্যবসায় পরিচালনা করিতে লাগিলেন। ঐ সময়ে মদনমোহন তর্ক জীবনী-কোষ و سیاه লঙ্কার, প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশ, ভরতচন্দ্র শিরোমণি, জযুনারায়ণ তর্কপঞ্চানন প্রমুখ খ্যাতনাম। অধ্যাপকগণ সংস্কৃত কলেজে শিক্ষ। দিতেন । চাকুরীতে প্রবেশ করিবার তিন বৎসর পরে কলিনাতে নিজ ব্যয়ে প্রাসাদোপম বাস ভবন নিৰ্ম্মাণ করেন । ব্যবসায়ে প্রধানতঃ লিপ্ত থাকিলেও তিনি শাস্ত্র চর্চা আদেী অবহেলা করিতেন না । সংস্কৃত কলেজের পুস্তকাগারের অমূল্য গ্ৰন্থরাজির তিনি যথাযোগ্য সদ্ব্যবহার করিতে পরায়ুখ ছিলেন না । আনুমানিক ১৮৬৭ খ্রীঃ অবো তারানাথের পিতৃবিয়োগ হয়। তৎপূৰ্ব্বে, ব্যবসায়ের ভার প্রাপ্ত কৰ্ম্মচারীদের অসাধুতার জন্ত, তাহার বিলক্ষণ ধনহানী হয়। ১৮৫২ খ্রীঃ আবে তিনি “শব্দার্থরত্ন” নামে এক খানি গ্রন্থ সঙ্কলন করেন । কিন্তু উহা বিক্রয় করিয়া কিছুই অর্থ লাভ করিতে পারেন নাই। অন্তান্ত ব্যবসায়তেও পূৰ্ব্বোক্ত কৰ্ম্মচারীদের অসাধুত ভিন্ন অন্তান্ত নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া, তিনি ঋণজালে জড়িত হইয় পড়েন। কয়েক বৎসর এই ঋণের জন্য র্তাহাকে তুর্ভাবনা ও উত্তমর্ণের উৎপীড়ন সহ করিতে হইয়াছিল। তারীনাথ বিধবা বিবাহ অনেদলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একজন পরম সহায়ক ছিলেন । বিধবা বিবাহ শাস্ত্র সম্মত বলিয়া অনুমোদন করায়