পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՏ(ի ক্ষতিপূরণ দাবী করিলেন । কিন্তু অনুসন্ধান করিয়া দেখা গেল, যে পরিমাণ শস্ত ক্ষেত্রস্বামী পাইতে আশা করিয়াছিলেন, ক্ষেত্রে তদপেক্ষ অনেক বেশী শস্ত আছে। সুতরাং গ্রাম্য পঞ্চায়েতগণ অতিরিক্ত শস্ত তুকারামকে দিতে বাধ্য করিলেন । তুকারাম এই অতিরিক্ত শস্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থে বিঠোবার মন্দিরের সংস্কার করিলেন । তিনি ইতিপূৰ্ব্বেই কিছু কিছু সদগ্রন্থ সংগ্ৰহ করিয়া পাঠে মনোনিবেশ করিয়াছিলেন। এখন হইতে পাঠ ও অভঙ্গ ( কবিতা ) রচনায় মন দিলেন। পূৰ্ব্বগামী নামদেব প্রভৃতি ভক্তগণের অভঙ্গ পাঠ করিয়া র্তাহীর মন তদনুরূপ আভঙ্গ রচনায় উৎসুক হইল। র্তাহার সরল, সরস উদার অভঙ্গে সকলের মন আকৃষ্ট হইতে লাগিল । ইহাতে একদল লোক বিশেষতঃ ব্রাহ্মণবংশীয় সংস্কার বিরোধী দল, র্তাহার উপর অতিশয় রুষ্ট হইলেন । তাহারা দেখিলেন যে, তুকারামের ভক্তিতে আকৃষ্ট হইয়া, কোন কোন ব্রাহ্মণ যুবক র্তাহাকে প্রণাম করিতেও কুষ্ঠিত হয় না। এই ব্যাপার ব্রাহ্মণদের পক্ষে অসহনীয় হইল। মম্বাজীবাব। গোসাই নামক একজন ভারতীয়-ঐতিহাসিক তুকারাম শয় দুঃখিত হইলেন । কিন্তু তাহার শাপ ভয়ে কেহই অগ্রসর হইতে সাহস করিলেন না । এদিকে অসাধারণ সহিষ্ণু তুকারাম এই নিদারুণ আঘাতেও কিছুমাত্র বিচলিত হইলেন না । তুকারাম মন্দিরে প্রবেশ পূৰ্ব্বক বিঠোবার চরণে প্রণত হইয়। বলিলেন— ছাড়িব না ছাড়িব না, ছাড়িব না হে বিঠোবা তোমারই চরণ । যতই যন্ত্রণ আসে, আমুক কি করিবে সে, না হয় হইবে মরণ। অস্ত্রধারী আসি কেহ, খণ্ড যদি করে দেহ, তবু নাহি ডরি। তুকা বলে সাবধান, হয়ে আছি আগুয়ান, চিতে মোর শম গুণ ধরি । (সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদ) । প্রকৃত ঈশ্বর ভক্তের কি আশ্চৰ্য্য প্রকৃতি। কঠোর আত্মসংযম দ্বারা যে চরিত্র গঠিত, এবার তাহার পরীক্ষা হইল । এদিকে সন্ধ্যায় কীৰ্ত্তন আরম্ভ হইল। মম্বাজী প্রতিদিন বিঠোবা মন্দিরে কীৰ্ত্তন শুনিতে আসিতেন । সেইদিন লজ্জায় আর আসিলেন না, তুকারাম স্বয়ং যাইয়া বিনয়ের সহিত র্তাহাকে কীৰ্ত্তনে যোগ দিতে লইয়! আসিলেন । তুকারামের ব্যবহারে তিনি লজ্জিত হইয়। তাহার সাধু একদিন সামান্ত কারণে অথবা । পরম ভক্ত হইলেন বিন কারণে তুকারামকে কণ্টক দ্বারা বিষম প্রহার করিলেন। পাশ্ববৰ্ত্তা লোকের গোসাইজীর ব্যবহারে অতি রামেশ্বর ভট্ট নামক এক ব্রাহ্মণও প্রথমে তুকারামের প্রতি অত্যাচার করিয়া, পরে তাহার পরম ভক্ত, ভক্ত