পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩৫৫

ԳՏՏ রামচরিত মানস গ্রন্থ রচনা শেষ হয় । তুলসীদাসের রামায়ণের প্রকৃত নাম "রামচরিত মানস* । উচ্চা অতি মধুর এবং ভক্তি রসাত্মক গ্রন্থ। পশ্চিম অঞ্চলের সাধুভক্তেরা ভাগবতের ন্যায় এই রামায়ণের আদর করিয়া থাকেন। ভারতের যে যে স্থানে হিন্দি প্রচলিত সৰ্ব্বত্রই তুলসীদাসের রামায়ণ যত্ন পুৰ্ব্বক পঠিত হইয়া থাকে । ঐৰূপ ধৰ্ম্মভাব সমন্বিত পুস্তক ভারতের অন্ত কোনও ভাষায় অধিক নাই। সেই সময়ে প্রধানতঃ ব্রজ ভাষাতেই গ্রন্থাদি রচনা করার পদ্ধতি থাকিলেও তুলসীদাস ঠিক সেই ভাষায় রামচরিত মানস রচনা করেন নাই । সরল ভাষায় সব ব্যক্ত করাই তাতার উদ্দেশ্য ছিল বলিয়া, তিনি নিজ সুবিধানুযায়ী ভাষা ব্যবহার করিয়াছিলেন । রামায়ণ ব্যতীত নিম্ন লিখিত গ্রন্থগুলিও তুলসীদাসের রচনা, গীতাবলী ; দেtহাবলী ; বিনয় পত্রিকা ; কৃষ্ণাবলী ; বৈরাগ্য সন্দীপণী ; শঙ্কট মোচন পাৰ্ব্বতীমঙ্গলী ; রামসতসই ; রামতলা ; রাম নহছু ; বরবা রামায়ণ ; জানকীমঙ্গল ; রামশকুনাবলী ; চোপাই রামায়ণ ; হনুমানবাহুক ; রামশলাকা । কুন্তলী রামায়ণ ; কড়ক রামায়ণ ; বোলা রামায়ণ ; ঝলন রামায়ণ । মীরাবাঈ তুলসীদাসের সমসাময়িক ছিলেন। একবার মীরাবাই এর অনুরোধে তুলসীদাস, তাহাকে কয়েকটি ভারতীয়-ঐতিহাসিক তুলসীবাই ছত্রে, কি প্রকারে মনের শান্তি পাওয়া যায়, তদ্বিষয়ে উপদেশ প্রদান করেন । সু প্রসিদ্ধ হিন্দি কবি আবদুর রহিম খা’র সহিত তুলসীদাসের বিশেষ প্রণয় ছিল । তাহীর ভক্তি ও নিষ্ঠার জন্য সমসাময়িক অনেক দেশীয় নৃপতি র্তাহার অনুরাগী হইয়াছিলেন । তুলসীদাসের জীবন কথা কালক্রমে অনেক অতি প্রাকৃত অলৌকিক ঘটনার সহিত জড়িত হইয়া গিয়াছে । কিন্তু তৎসত্ত্বেও তুলসী চরিত্রের আসল মাধুৰ্য্যটুকু নষ্ট হয় নাই। অলৌকিক ঘটনা বিশ্বাস না করিলেও, সে সকল কাহিনী যে তুলসীর দৃঢ় ভক্তি, নিষ্ঠ ও অন্তর বাহিরে ভগবদর্শনের পরিচায়ক তাহার সন্দেহ নাই । তুলসীদাসের স্বরচিত গ্রন্থে র্তাহার কোনও পরিচয় নাই । গোসাই চরিত্র ও নাভাজী রচিত ভক্তমাল গ্রন্থে কিছু কিছু বিবরণ আছে। প্রথমোক্ত গ্রন্থের বিবরণ তাদৃশ বিশ্বাস্ত নহে। না ভাজী তুলসীদাসের সমসাময়িক ছিলেন এবং বৃন্দাবনে উভয়ের সাক্ষাং হইয়াছিল। এজন্য র্তাহার বিবরণ অপেক্ষাকৃত বিশ্বাসযোগ্য। তুলসীদাসের মৃত্যুর প্রায় সত্তর বৎসর পরে প্রিয়দাস রচিত ভক্তমালের টীকায় তাহার জীবনাথ্যান পাওয়া যায়। প্রায় আশী বৎসর বয়সে কাশীধামে তাহার মৃত্যু হয়। তুলসী বাই—মহারাজ যশোবন্তরাও