পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty) ల আনন্দপালের পুত্র। আনন্দপাল কাবুলে ১০২১ খ্ৰীঃ অব্দে পরলোক গমন করিলে র্তাহার পুত্র ত্রিলোচন পাল রাজ হইয়াছিলেন । ত্রিলোচন পলি ১০২৬ খ্ৰীঃ আবেদ পরলোকগত হইলে, তাহার পুত্র ভীমপাল রাজ হইয়াছিলেন । শাহী বংশ কাশ্মীরের সামন্ত নরপতি ছিলেন । সুলতান মাহমুদের সহিত তাহার যুদ্ধ সংঘটিত হইয়াছিল । সেই সময়ে কাশ্মীরপতি সংগ্রাম রাজ, ত্ৰিলোচনের সাহায্যাৰ্থ স্বীয় সেনাপতি তুঙ্গের অধীনে এক বিপুল সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করিয়াছিলেন । কিন্তু তুঙ্গের বুদ্ধি দোষে শাহীরাজ পরাভূত হন । শাহী বংশ কাবুল হইতে তড়িত হইয়। কাশ্মীরে আশ্রয় লাভ করিয়াছিলেন । ত্ৰিশটাচাৰ্য্য—তিনি একজন আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্রবেত্তা । তাহার রচিত গ্রন্থের নাম—চিকিৎসা কথিকা বা যোগ মালা । তাহার পুত্ৰ চন্দ্রটি চিকিৎস কথিকার এক মনোরম টীকা প্রণয়ন করিয়াছেন । ত্রিশ লা—তিনি জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীরের জননী ও বৈশালীর রাজা চেটকের ভগিনী ছিলেন । মহাবীর দেখ । ত্রৈলিঙ্গ স্বামী-ভারতবিখ্যাত যোগী। তিনি দীক্ষিণাত্যের এক ব্রাহ্মণবংশসস্তুত ছিলেন। ১৬০৭ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার জন্ম হয় এবং ১৮৮৭ খ্রীঃ অব্দে কাশীধামে তিনি দেহরক্ষা করেন । সুতরাং ভারতীয়-ঐতিহাসিক ६ब्ललित्र এই হিসাবে তিনি ২৮০ বৎসর জীবিত ছিলেন বলিয়া ধরিতে হয় । র্তাহার পিতৃদত্ত নাম ত্রৈলিঙ্গধর । তাছার পিতা মৃসিংহধর ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন । তাহার জ্যেষ্ঠ পত্নীর গর্ভে ত্ৰৈলিঙ্গধর এবং অপর পত্নীর গর্ভে শ্ৰীধর নামে আর এক পুত্র জন্মগ্রহণ করে । চল্লিশ বৎসর বয়সে ত্রৈলিঙ্গধর পিতৃহীন হন এবং কয়েক বৎসর পরে তাহার মা তারও মৃত্যু হয় । ইহাতে র্তাহার মনে গভীর বৈরাগ্যের উদয় হয় । তিনি মাতার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার পর আর সংসার শ্রমে গমন করিলেন না । শ্রীধর ও অন্যান্ত আত্মীয় স্বজনের সামুনয় অনুরোধ ও চেষ্টা সকলই বিফল হইল । র্তাহীর মাতা যোগপরায়ণ মহিল৷ ছিলেন । পিতার মৃত্যুর পর ত্রৈলিঙ্গধর কিছুকাল তাহার নিকট যোগ শিক্ষা করিয়tiছলেন । এক্ষণে তিনি শ্মশান ক্ষেত্রেই অনুজ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত কুটীরে অবস্থান করিয়া, গভীর যোগসাধনfয় নিমগ্ন হইলেন । এইভাবে বহু বৎসর অতীত হয় । এই সময়ের মধ্যে ভগীরথ স্বামী নামে আর এক জন বিখ্যাত যোগীর সহিত র্তাহার পরিচয় হয় এবং ত্ৰৈলিঙ্গধর ভগীরথের সহিত পুষ্কর তীর্থে গমন করেন । তথায় কিছুকাল বাস করিয়া তিনি যোগসাধনার গৃঢ় তত্ত্ব শিক্ষা করেন এবং ভগীরথ স্বামীর নিকট দীক্ষিত হইয়া, গণপতি স্বামী নাম