পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-তৃতীয় খণ্ড.pdf/৪৪২

দিগম্বর ১৮৬৬ খ্ৰীঃ অবোঁ কলিকাতা বন্দরের উন্নতি বিধানের জন্ত, যে পরামর্শ সমিতি গঠিত হয়, তিনি তাহার একজন সদস্য নিৰ্ব্বাচিত হন । সেই বৎসরই তিনি ওয়ার্ড ইনষ্টিটিউশনের একজন পরিদর্শক নিযুক্ত হন। ঐ সময়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রণীতব্য বিধি সমূহ বিবেচনা করিবার জন্ত, যে সকল বিশেষ ( Solect ) কমিটি নিযুক্ত হইয়াছিল, তাহার অনেক গুলিতেই তিনি সদস্য মনোনীত হন। পর বৎসর সরকারের বিশেষ নির্দেশ বলে, তিনি এবং অীর ও ছয়জন সন্ত্রান্ত ব্যক্তি, দেওয়ানী আদি। ন তে উপস্থিত হইবার বাধ্য তা হইতে মুক্তি প্রাপ্ত হন । পূৰ্ব্বোক্ত উড়িষ্যার দুর্ভিক্ষের পর উড়িষ্যার জমি সংক্রান্ত বন্দোবস্ত কfরবার সময় উপস্থিত হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলিত হইবার পূৰ্ব্বে,বাঙ্গাল দেশে যে দশশালা ব্যবস্থা ছিল,তাহারই অনুকরণে উড়িষ্যার ত্ৰিশশীলা বন্দোবস্ত ছিল । দিগম্বর মিত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পক্ষপাতী ছিলেন। ঐ নুতন বনোবস্ত করিবার সময় উপস্থিত হইলে, তিনি যুক্তি ও তথ্য অবলম্বনে বিশেষ ভাবে আন্দোলন করেন । তাহার ফলে যে ব্যবস্থা হয়, তfহাতে উড়িষ্যার জমিদার ও প্রজা উভয়েই উপকৃত হন। ১৮৬৬ খ্ৰীঃ অব্দে ইয়োরোপে তুর্ক দেশের রাজধানী কনষ্টাটিনোপল জীবনী-কোষ واسراسرا নগরে পাশ্চাত্য চিকিৎসা ব্যবসায়ী গণের এক আলোচনী সভা হয় । তাহীতে এইরূপ মত ব্যক্ত হয় যে, ভারতবর্ষে প্রতি বৎসর যে স ক ল মেলা হইয়া থাকে, তাঁহাতেই কলের রোগের উৎপত্তি ও বিস্তার হয় । ভারতবর্ষে উৎপন্ন ঐ রোগই ক্রমে পৃথিবীর অন্তান্ত দেশে বিস্তৃত হয় । ভারত সরকার এই বিষয় জানিতে পারিয়া, উহার সত্যাগত নিৰ্দ্ধারণে তৎপর হইলেন এবং এই বিষয়ে দিগম্বর মিত্রের মতামত জানিতে ইচ্ছ। প্রকাশ করিলেন । তিনি এক দীর্ঘ মন্তব্যে, উক্ত নিদ্ধারণের ভ্রম প্রদর্শন করেন এবং তৎসহ বিভিন্ন মেলা ও তদনুরূপ স্থানে ঐ রোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করিবার উপায় সম্বন্ধে, কয়েকটি সুচিন্তিত পন্থ}ব উল্লেখ করেন । খ্রীঃ আন্দে প্রথম ভারত সরকার উপলব্ধি করেন যে, স্থানীয় প্রয়োজনের জন্য যে অর্থ ব্যয় করা দরকার হয়, তাহ! স্থানীয় লোকদের নিকট হইতেই সংগ্রহ করা উচিত । কিন্তু এবিষয়ে কয়েক বৎসর পর্য্যন্ত কোন ও ব্যবস্থা করা হয় নাই। ১৮৭০ খ্ৰীঃ অব্দে বাঙ্গ লা সরকার এইভাবে স্থানীয় দরকারে স্থানীয় অর্থ সংগ্রহের কি উপায় করা যায়, তাহ নিদ্ধারণ করিবীর জঙ্গ, একটি কমিটি গঠন করেন । সেই কমিটিতে দিগম্বর মিত্র একজন Ꮌ br 'Ᏹ >