পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8७ ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্র প্রতিযোগীতা জগৎ হইতে দূর হইবে তাহার বক্তৃতা শ্রবণ করিতে সভায় না। ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন ধৰ্ম্মশাস্ত্র পাঠ অথবা কোনও বিশেষ ধন্মের বাহিক প্রণালী পালন দ্বারা ব্যক্তিগত লাভ কিছু হইতে পারে । কিন্তু উই। ধন্মের বহিরাবরণের স্বাদ মাত্র । যে কোনও ধন্মের মূল তত্ত্বের সহিত পরিচিত হইবার, পক্ষে বাহিক ক্রিয়া কলাপের অনুসরণ মূল্য হীন । প্রকৃত ধৰ্ম্মসমন্বয় সাধন করিতে হইলে সকল লোককে বিভিন্ন ধৰ্ম্মের মূল তত্ত্বের সহিত পরিচিত করাইতেই হইবে। সেই উদ্দেশু্যেই তিনি র্তাহার সহকৰ্ম্মী ও অনুবত্তী দিগকে বিভিন্ন ধৰ্ম্মশাস্ত্র অধ্যয়ন ও সেইসকল হইতে সারসংগ্ৰহ পূৰ্ব্বক জনসমাজে তাঙ্গ। প্রচার করিবার ভার অর্পণ করেন । বক্তা কেশবচন্দ্র । বাঙ্গালীদের মধ্যে কেশবচন্দ্রই প্রথম ইংরেজি ও বাঙ্গালা বক্তৃতাদ্বারা দেশ ও বিদেশে সৰ্ব্বত্র খ্যাতি লাভ করেন । র্ত tহার এই অসাধারণ বাগীতার খ্যাতি, মুদুর পাশ্চাত্য দেশেও প্রচারিত হইয়াছিল এবং তিনি যখন ইংলণ্ডে অবস্থান করিতেছিলেন, তখন র্তাহার অসামান্ত বক্তৃত। শক্তি ইংলণ্ডের জনসাধারণের অভূতপূৰ্ব্ব বিস্ময় ও প্রশংসার বিষয় হইয়াছিল। এদেশেও উচ্চপদস্থ ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারী, এমন কি একাfor Agolfü (Governor General ) উপস্থিত থাকিতেন। প্রধানতঃ ধৰ্ম্মও তদানুষঙ্গিক বিষয় লইয়াই তিনি বক্ততা প্রদান করিতেন । র্তাহার Am I an Inspired Prophet India asks Who is Christ ? What Myrvellous Mystery, The Trinity; Asia’s Message to Europe, Great Men; Jesus Christ : Asia and England's Duty to India; Christ and Christianity প্রভৃতি বক্তৃতাগুলি সৰ্ব্বত্র বিস্ময় ও শ্রদ্ধার তরঙ্গে দেশকে আন্দোলিত করিয়াছিল । Europe . বিবিধ কাজ ব্রাহ্মসমাজে অসবর্ণ বিবাহ প্রচলন যে কেশবচন্দ্রের চেষ্টাতেই হয় সেকথা পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে । এইসকল অসবর্ণ বিবাহজাত সন্তানেরা যাহাতে আইন গত কোনরূপ বিপত্তিতে না পড়ে, তজ্জন্ত বিশেষ চেষ্টা করিয়া এক আইন বিধিবদ্ধ করান । এই আইন ১৮৭২ খ্ৰীঃ অব্দের তিন আইন নামে পরিচিত । সমুদয় অসবর্ণ বিবাহ, এমন কি ভিন্ন ধৰ্ম্মমতাবলম্বীদের বিবাহ এই আইন অমুসারে নির্বুদ্ধ হয় । এই আইন প্রচলন উপলক্ষে তিনি, বিবাহযোগ্য। কন্যার সৰ্ব্বনিম্ন বয়স নিৰ্দ্ধারণের জন্য বহু দেশীয় ও বিদেশীয় চিকিৎসকের মতামত সংগ্রহ করেন । তদবধি ব্রাহ্ম