পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কক্ষ
জীবনী কোষ

তৈলপ পরে তাঁহার কন্যা জক্কবাকে বিবাহ করেন।

কক্ষ—তিনি সিন্ধুদেশের অধিপতি দাহিরের ভ্রাতা চন্দ্রের পুত্র। তিনি দাহিরের সঙ্গে থাকিয়া আরব সেনাপতি মোহাম্মদ বিন কাশিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়াছিলেন। দাহিরের মৃত্যুর পর তিনি নিরাশ হৃদয়ে কাশ্মীরে প্রস্থান করেন। দাহির দেখ।

কঙ্ক—ময়মনসিংহ জিলানিবাসী এক জন কবি। তাঁহার রচিত একখানি ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্য পাওয়া গিয়াছে। উহাতে রুচি বিগর্হিত বর্ণনার অভাব পরিলক্ষিত হয়। তিনি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের সমসাময়িক ছিলেন বলিয়া কথিত হন।

কঙ্কুল—দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দিন খিলিজী কর্ত্তৃক অশির নগর আক্রান্ত, বিধ্বস্ত এবং তত্রত্য চোহানরাজ রাওচাঁদ হত হইলে সাৰ্দ্ধদ্বিবর্ষ বয়স্ক পুত্র রণসিংহকে লইয়া রাজমহিষী স্বীয় ভ্রাতা চিতোরের রাণার আশ্রয়ে চলিয়া যান। রণসিংহ প্রাপ্তবয়স্ক হইয়া দুঙ্গা নামক ভীল সর্দ্দারকে পরাস্ত করিয়া ভিনসহর অধিকার করেন। এই রণসিংহের পুত্র কলূন ও কঙ্কুল। কলুন মধ্যভারতবর্ষের পথর নামক উন্নত ভূভাগ, মীনদিগকে পরাস্ত করিয়া অধিকার করেন এবং নববিজিত রাজ্যের
দশমাংশ কনিষ্ঠ কঙ্কুলকে প্রদান করেন। বলা বাহুল্য, ভিন সহরও তাঁহার অধিকারে ছিল। এই কঙ্কুলজী হইতেই ক্রোরিয়া ভাটগণের উদ্ভব হইয়াছে। কচুরায়—ইহার প্রকৃত নাম রাঘব রায়। তিনি যশোহরের স্বাধীন নরপতি প্রতাপাদিত্যের পিতৃব্যপুত্র। প্রতাপের পিতামহ ভবানন্দের শ্রীহরি ও জানকী বল্লভ নামে দুই পুত্র ছিল। প্রতাপাদিত্যের পিতা শ্রীহরি গুহ (নামান্তর বিক্রমাদিত্য রায়) ও পিতৃব্য জানকী বল্লভ গুহ (নামান্তর বসন্ত রায়) নবাব সরকারে সেনাপতির কাজ করিয়া প্রভূত ধন সঞ্চয় করেন। নবাব সুলেমান শাহ কররাণী (১৫৬৪-১৫৭৩ খ্রীঃ) শ্রীহরি ও জানকী বল্লভকে বিক্রমাদিত্য ও বসন্তরায় উপাধি প্রদান করেন। রাজা প্রতাপাদিত্য কোন কারণে ক্রুদ্ধ হইয়া পিতৃব্য বসন্তরায় ও তাঁহার সাত পুত্রকে অসিমুখে অর্পণ করেন। কেবল একমাত্র শিশুপুত্র রাঘবকে লইয়া তাঁহার জননী কচুবনে পলায়ন পূর্ব্বক আত্মরক্ষা করেন। তদবধি তিনি কচুরায় নামেই খ্যাত হন। বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া কচুরায় বিশ্বস্ত কর্ম্মচারী রূপরামের সহিত দিল্লীতে উপস্থিত হন। তখনকার দিল্লীর সম্রাট জাহাঙ্গীর শাহের সেনাপতি মানসিংহ তাঁহাকে সাদরে গ্রহণ করেন। তৎপূর্ব্বেই