পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৯৯ রোপ করিলেন । জেলের স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকে দৃষ্টি পড়িল, আর বাঙ্গালা সরকারের সহিত, ভারত সরকারের একটু মনোমালিন্ত ও সংঘটিত হইল । হাইকোর্টের সহিতও এই সময়ে বিডন সাহেবের মনাস্তর উপস্থিত হয় এবং তজ্জন্ত তিনি কিছু অপমানিত হয়েন। র্তfহার সময়ে নীলকর সাহেবের আবার অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছিল । বাঙ্গীলা গভর্ণমেণ্ট নীলকরদের উপর বিরূপত প্রকাশ করিতে লাগিলেন। মুতরাং নীলকর সাহেবেরাও র্ত হার উপর চটিয়া গেল। এই সময়ে বাঙ্গালীরাও তাহার উপর বিরক্ত হইল । কারণ বড়লাট গঙ্গাবক্ষে মৃতদেহ নিক্ষেপের বিরোধী হইলেন, বিডন সাহেবও গঙ্গাতীরে শব দাহের বিরোধী হইলেন । বাঙ্গালীদের এক সভায় ইহার প্রতিবাদ হইলে,ইহা উঠিয়া যায়। ১৮৬৪ সালের ৬ই অক্টোবর কলি কাতায় এক ভীষণ ঝটিকার উপদ্রব হইয়াছিল। তাহাতে প্রায় দুই কোটী টাকার সম্পত্তি ও অনেক লোকের প্রাণ বিনষ্ট হয় । সেই দিন কলিকাতার সমীপবৰ্ত্তী ভাগীরথী নদীতে ১৯৮ খানি জাহাজ ছিল । প্রবল ঝটিকায় ২১ খানি একেবারে বিনষ্ট, ১৩৯ খানি ਕ੍ਰਾਂ প্রায়, এবং ৩৮ খানি কিয়ৎ পরিমাণে ভগ্ন হয় । কলিকাতার নিকট হইতে দক্ষিণে গঙ্গাসাগর পর্য্যন্ত ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিভম ভাগীরথীর উভয় কুলে অনুমান পঞ্চাশ হtজার লোক বিনষ্ট হইল। বাঙ্গালা দেশের এই বিপদে বোম্বাই নগরের লোকেরা চাদ করিয়া এক লক্ষ টাকা প্রেরণ করেন । কিন্তু বাঙ্গালা দেশে অনুরূপ কোন চেষ্টা হয় নাই ১৮৬৫ সালের অনাবৃষ্টিতে উড়িষ্যার যে কি ক্ষতি হইয়াছিল, তাহ কেহই প্রথমে বুঝিতে পারেন নাই। প্রায় শত বর্ষের মধ্যে এমন দুভিক্ষ উড়িষ্যায় হয় নাই। ঐ দেশে ধান্ত মাটীর নীচে পুতিয়া রাখfর নিয়ম থাকায়, রাজকৰ্ম্মচারীরাও সহজে তাহা বুঝিতে পারেন নাই । কমিসনীর রাভেনশ সাহেব রিপোর্ট করিয়াছিলেন যে, মাটীর নীচে ধান পুতিয়া রাখিয়া মহাজনের দুষ্টামি করিয়া দর বাড়াইয়াছে । জমিদারগণ দুর্ভিক্ষ জন্ত থtজান আদায় হইতেছেন। বলিয়। রাজস্ব মীপ চাহিল । রেভিনিউ বোড তাহা অগ্রাহ করিল । যখন বাজারে শস্ত বিক্রয়ার্থ আসা বন্ধ হইল, এমনকি জেলের কয়েদীদের সাহায্য ংগ্রহও সুকঠিন হইল, তখন রাজ পুরুষদের চৈতন্ত হইল যে, দেশে শস্ত একে বারে নাই। তখন উড়িষ্যায় শস্ত পাঠানও সম্ভব হইল না । প্রবল দক্ষিণী বাতানের প্রতিকুলে জাহাজ প্রেরণ অসম্ভব । আর তখন রেল পথও হয় নাই। এই অবস্থায় উড়িষ্যার প্রায় দশ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়। এজন্য