পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১১৩

১১৭ শা-জাহান ১৬৩৬ খ্ৰীঃ অব্দে অীওবঙ্গ জীবকে দক্ষিণাত্যের পুনঃ বিজিত প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করেন। যে সামান্ত কয়টি স্থানে তখনও মুঘল প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, আওরঙ্গ জীব পরে সেই সকল স্থানে মুঘল বিজয়-পতাকা উড়ডীন করেন। সকল ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ জানিবার জষ্ঠ নিম্নলিখিত নামগুলি দ্রষ্টব্য— আদিল শাহ, মালিক অম্বর ; কুন্তবৃ শাহ ; শাহজী ভে{সলে ও নাজিম শাহ )। আওরঙ্গজী । নজ ক্ষম তা ও বিচার বুদ্ধির উপর ধথেঃ আস্থাবান ছিলেন । পিতা শা-জাইন, তাহার জেষ্ঠ ভ্রাতা দীর শেকে কে অধিক } স্নেহ প্রদর্শন করিতেন বলিস। আওরঙ্গজীব অসন্তুষ্ট ছিলেন । নিজ মনোভাব পিতার নিকট জ্ঞাপন করিলে সম্রাট ক্রুদ্ধ হইয়। আওরঙ্গজীবকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পরে কন্যা জাহানীরা র অটুরোধে তিনি পুত্রকে ক্ষমা করিয়া পুনরায় ( ১৬3৫ খ্রী: ) গুঞ্জ র প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তার পদে নিযুক্ত করেন । তথা হইতে তিনি মধ্য এশিয় ও বৰ্ত্তমান আফগানিস্থানের অন্তর্গত কোনও স্থানে { ७ीश ভারতীয়-ঐতিহাসিক আওরঙ্গজীব সিদ্ধ সমরকৌশল প্রয়োগ করিয়া বিশেষ চেষ্টার পর তথায় মুঘল প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠা করিতে সমর্থ হন। তথা হইতে প্রত্যাবর্তন করিয়া তিনি কিয়ংকাল সিন্ধু ও মুলতান প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তীরূপে অবস্থান করেন । তৎপরে কান্দাহারের প্রসিদ্ধ দুর্গ অধিকার করিবার জন্ত প্রেরিত হন। ঐ স্থানটি রাজনীতিক ও বাণিজ্যিক কারণে মুঘল ও পরিশীকদিগের লোভের বস্তু ছিল। কিন্তু ভারতীয় মুঘলবাহিনী একাধিকবার যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াও হা অধিকার করিতে পারে নাই । কান্দাহা অধিকার করিতে অসমর্থ হই। আওরঙ্গ জীব প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। অত:পর সম্রাট তাহাকে পুনরায় দক্ষি৭াত্যের শাসনকৰ্ত্ত নিযুক্ত করেন। দীর্ঘকালব্যাপী অনাচার, অত্যাচায় ও কুশাসনের ফলে দক্ষিণাপথের মুঘল শাসনাধীন প্রদেশগুলি দুরবস্থার চরম সীমা উপস্থিত হইয়াছিল। স্বভাবসুলভ কার্যক্ষমতার বলে তিনি তৎক্ষণাৎ তথায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অনাবগুক ব্যয় সংঙ্কোচন, মাধ্যমতে আয়-বৃদ্ধি, শৃঙ্খলাস্থাপন প্রভৃতি কায্যে মনোসংযোগ করিলেন । এই সকল কার্য্যে মুর্শিদ खें - বিদ্রোহ দমনে প্রেরিত হন। অতি দুৰ্দ্ধৰ্ষ যাযাবর জাতীর বিরুদ্ধে মুঘলবাহিনীর ঐ অভিযান আদৌ সুবিধাজনক হয় নাই । আওরঙ্গ জীব অশেষ শারীরিক কষ্ট সহ এবং নিজ স্বভাব কুলি খাঁ তাহার প্রধান সহায় ছিলেন। তাহার সহায়তায় আওরঙ্গ জীব রাজস্ব সংগ্রহ ও তদামুসঙ্গিক বিষয়ের অতি সুব্যবস্থা করিতে সমর্থ হন। ঐ ব্যব