পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3*ම් গণিতে এম এ পরীক্ষায়ও প্রথম স্থান অধিকার করেন। উপাধি বিতরণের সময় ভাইস চেনসেলার বক্তৃতায় বলিয়াছিলেন যে, বিলাতের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৰ্ব্বোত্তম ছাত্রও তাহার অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ভাবে গণিতের প্রশ্নোত্তর লিখিতে পারেন না । তিনি ‘প্রেমর্চাদ রায়চাঁদ বৃত্তি লইয়। ১৮৭০ খ্ৰীঃ অব্দে ইংলণ্ডে গমন করেন এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেঙ্গলার উপাধি প্রাপ্ত হন । তৎপূৰ্ব্বে কোন ভারতবাসী এই গৌরব লাভ করেন নাই। তিনি ইংলণ্ডে চারি বৎসর থাকিয়া ব্যারিষ্টার হইয়া, দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । আইন ব্যবসায়েও তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখাইয়া ছিলেন । র্তাহার প্রতিভা একমাত্র আইন ব্যবসায়ে নিযুক্ত থাকিলে, তিনি শীর্ষস্থান লাভ করিতে পারিতেন। কিন্তু তাহার মহান প্রকৃতি যশোলাভস্পৃহায় বিমুগ্ধ না হইয়া, দেশের নানা বিভাগের সৎকার্য্যে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। তাহার প্রখর বুদ্ধিমত্তা, উজস্বিনী বাগ্মীতা এবং অনন্তসাধারণ প্রতিভা তাহার পরবত্তা জীবনের স্তরে স্তরে বিদ্যমান থাকিয়া লোকোত্তর উজ্জল চরিত্র স্বষ্টি করিয়াছিল । তাহার অমামুষিক শক্তি, কি শিক্ষা বিভাগে, কি রাজনীতি ক্ষেত্রে, কি ধৰ্ম্ম সমাজে, সৰ্ব্বত্র সমুজ্জল ভাবে ফুটিয় উঠিয়াছিল । তিনি শিক্ষা বিভাগে বিশ্ব বিদ্যালয়ের সভ্যরূপে অনেক সংস্কার ভারতীয়-ঐতিহাসিক আনন্দ মোহন প্রবর্তিত করিয়াছিলেন । বর্তমান ‘রায়চাদ প্রেমচাঁদ পরীক্ষায় যে নুতন নিয়ম প্রচলন হইয়াছে, তাহার মধ্যে তাহার প্রস্তাব প্রধান ভাবে গ্রহণ করা হইয়াছিল। ভূ-বিদ্যা শিক্ষা দিবার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সারগর্ভ বক্তৃতা দেন এবং তাহার ফলে তদানীন্তন ডিরেক্টর প্রেসিডেন্সি কলেজে ভূ-বিদ্যা শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন । গুণগ্রাহী লর্ড রিপন তাহাকে শিক্ষা কমিশনের সভ্য নিৰ্ব্বাচন করেন। তিনিই ঐ কমিশনের একমাত্র ভারতীয় সভ্য ছিলেন । আনন্দমোহনের প্রধান কীৰ্ত্তি সিটি কলেজ ও বেথুন কলেজ । অনারেবল সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর সহযোগীতায় প্রথম সিটিস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরে উহ। কলেজে পরিণত হয় । র্তাহারা দুজনেই ইহার সংস্পর্শ পরিত্যাগ করিলেও আনন্দমোহন আজীবন উহার পশ্চাতে থাকিয়া অর্থেও সামর্থ্যে উহার পরিরক্ষণ করিয়াছিলেন । দেহত্যাগের কিছুকাল পূৰ্ব্বে তাহার সমুদয় কর্তৃত্ব ও সিটিকলেজের সকল ভার কতিপয় ট্রাষ্টীর হস্তে অপণ করিয়াছিলেন । আনন্দমোহন ইংলণ্ডে অবস্থান কালে বঙ্গমহিলাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য দ্বারিকানাথ গাঙ্গুলী ও দুর্গামোহন দাস মহাশয়দ্বয়ের উদ্যোগে “হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়” নামে এক স্কুল