পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छोनब्झेछाङ्ञ স্থাপিত হয়। বিলাত প্রত্যাগত আনন্দ মোহন, তুর্গামোহন দাস মহাশয়ের সঙ্গে মিলিত হইয়া বালীগঞ্জে এক উদ্যান বাটীতে “বঙ্গ মহিল৷ বিদ্যালয়” স্থাপন করেন এবং তাহারা উভয়েই উহার ব্যয়ভার বহন করিতেন। কালক্রমে ঐ বিদ্যালয় বেথুন স্কুলের সহিত মিলিত হইয়া ক্রমোন্নতিতে কলেজে পরিণত হয়। রাজনীতি ক্ষেত্রে আনন্দমোহনের স্বদেশসেবা সবিশেষ উল্লেখ যোগ্য । ১৮৭৬ খ্ৰীঃ আবে রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্ত ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হইলে সৰ্ব্বপ্রথমে আনন্দমোহন, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর সহিত কাৰ্য্যক্ষেত্রে পদাপন করেন । to Tei ( Indian Association ) আজ ও জীবিত থাকিয়া দেশের নানাবিধ কল্যাণ সাধন করিতেছে। ইংলণ্ডের Atoosets (Parliament ) stašīā রাজনীতির আন্দোলনের সূত্রপাত তাহাদ্বারাই হইয়াছিল । ভারতীর রাজনীতি সম্বন্ধে বিলাতে বক্তৃতা দিয়া ইংলণ্ডবাসীদিগকে তিনি চমৎকৃত করিয়াছিলেন। একবার স্বাস্থ্য লাভ উদ্দেশ্যে তিনি ইংলণ্ডে গমন করিয়াছিলেন । তথায় অমুস্থ দেহেও তিনি নান। স্থানে নানা ভাবে অবিরাম ভারতের দুর্দশার কাহিনী বর্ণনা করিতে লাগিলেন । বিশ্রাম গ্রহণের পরিবর্তে কঠোর পরিশ্রমে প্রবৃত্ত হইলেন। তৎ জীবনী-কোষ ՖՆ-8 ফলে ভগ্নস্বাস্থ্য লইয়াই তাহাকে দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতে হইল । তখন দেশবাসী তাহাকে যে বিপুল অভ্যর্থনা করিয়াছিল, তাহ বর্ণনাতীত । কলিকাত টাউন হলে অভ্যর্থনার জন্য আহূত সভায় বক্তৃতা করিতে করিতে তিনি মূচ্ছিত হইয়া পড়িলেন । সেই মুচ্ছ রোগের আক্রমণেই পরে তাহার দেহত্যাগ হয় । অথও বঙ্গভবনের ( JFederation IIall ) fèfá ogf9fGaz! দিন দেশ আর এক অতুলনীয় দৃপ্ত দেখিয়াছে। রোগশয্যায় শায়িত অfনন্দ মোহন ভক্তগণের স্বন্ধে ভর করিয়া ক্ষীণ কম্পিত হস্তে অটল বিশ্বাসের সহিত প্রসন্ন দিনে ভিত্তি স্থাপন করিলেন । আনন্দমোহনের অদম্য উৎসাহ, অপরিসীম উদ্যম, গভীর ধৰ্ম্মভাবের তুলনা নাই । মদ্যপানে দেশের সমূহ ক্ষতি হইতেছে দেখিয়া, যে সব দয়াদ্র চিত্ত ব্যক্তি এই দূৰ্গতি দুর করিবার মানসে দৃঢ় সংকল্প হইয়াছিলেন আনন্দমোহন র্তাহীদের অন্যতম । তিনি সমাজসংস্কারক রূপে, শিক্ষাবিভাগে ও রাজনীতিক্ষেত্রে যে সকল কাৰ্য্য করিয়াছিলেন, সে সকলই তাহার গভীর ধৰ্ম্মজীবনের উৎসরূপে উৎসারিত হইয়া শোভাময় হইয়াছিল । যে সময় মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেন, মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুরের সহিত মিলিত হইয়া, ব্রাহ্মসমাজে এক নবযুগের প্রবর্তন