আপদেব ১৯১৮ খ্ৰীঃ অব্দে ঐযুক্ত এনি বেসান্ত প্রমুখ প্রবর্তিত ‘হোমরুল’ আন্দোলনে যোগ দেন। তখন হইতে মৃত্যুকাল পর্যন্ত খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে ভারতের সৰ্ব্ব প্রকার রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন । তিনি সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার অতিশয় বিরোধী ছিলেন । তাহ। সত্ত্বেও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যেও iহার যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল । তিনি মুসলিম-লিগের একজন প্রধান সভ্য ছিলেন । ১৯২০ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি মুসলিম-লিগের সভাপতি হন। ১৯২০ খ্ৰীঃ অব হইতে থেলtফং ও অসহযোগ আন্দোলনে বিশেষ উৎসাহের সহিত যোগ দেন । ১৯২৭ খ্রীঃ আন্দে মাদ্রাজে কংগ্রেসের যে অধিবেশন হয়, তিনি তাহার সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন । তৎ পরবৎসর কলিকাতায় সৰ্ব্বদল সম্মেলনের ও সভাপতি হইয়াছিলেন । ১৯৩০ খ্ৰীঃ অবে অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে কংগ্রেস বে-আইনি প্রতিষ্ঠান বলিয়া ঘোষিত হয় । ঐ বৎসরই আগষ্ট মাসে দিল্লীতে র্তাহার ভবনে কংগ্রেসের কার্য্য করা সমিতির (Congress Working Committee) এক অধিবেশন হইতেছিল । তখন ডাঃ আল্লারী, পণ্ডিত মদনমোহন মালধীয় ও আরও অনেক অনেক রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তার হন এবং পরদিন বিচারে তাহার প্রতি ছয় মাস জীবনী-কোষ ১৯২ কারাদণ্ডের আদেশ হয় । দুই বৎসর পরে পণ্ডিত রাজেন্দ্র প্রসাদের পর তিনি কংগ্রেসের সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন । কংগ্রেস তখনও বে-আইনি প্রতিষ্ঠান বলিয়া ঘোষিত ছিল । তৎফলে আন্দারী পুনরায় কারাদণ্ড ভোগ করেন। তাঁহারই বিশেষ চেষ্টায় ১৯৩৩ খ্ৰীঃ অব্দে কংগ্রেস পার্লামেণ্টারী বোর্ড গঠিত হয় এবং তিনি উহার প্রথম সভাপতি ছিলেন । ১৯২৫ খ্ৰীঃ অব্দে স্বাস্থ্য ভগ্ন হওয়ায় তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন হইতে অবসর গ্রহণ করেন । ১৯৩৬ গ্রী; অব্দের মে মাসে মুদেীর হইতে দিল্লী গমনকালে পথিমধ্যে ট্রেনে তাহার মৃত্যু হয় । আপদেব—অনন্তদেবের পুত্র আপদেব মীমাংস শাস্ত্রে বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন। 'মীমাংসাষ্ঠীয় প্রকাশ’ ও সদানন্দের বেদান্তসারের উপর ‘বাল বোধিনী' নায়ী টাকা ইহার রচিত । আপস্তম্ব—দাক্ষিণাত্যের অন্ধ রাজ্যে কৃষ্ণানদীর নিকটে সংহিতাকার আপস্তম্ব বাস করিতেন । আমরা ধৰ্ম্ম সূত্র করি, কল্পস্থত্রকার এবং সংহিত|কার, এই তিন জন আপস্তম্বের নাম প্রাপ্ত হই। এই তিনজন একই ব্যক্তি কিনা ইহা বিবেচ্য। মহর্ষি আপস্তম্ব শ্রোতস্বত্র প্রণয়ন করিয়াছিলেন। ইহার অনেক টীকাও হইয়াছে। এই স্বত্র গুপ্ত নামে খ্যাত। প্রাচীন হিন্দুদের
পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।