পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুবিদুল গফার কাল পুৰ্ব্বে কাশ্মীর হইতে আসিয়া ঢাকায় বাস করেন। পিতা খাজা আলি মোল্লা সাহেব সামান্ত ব্যবসায়ে প্রচুর ধন সঞ্চয় করেন । দানশীলতার জন্য নবাব বাহাদুর বিখ্যাত ছিলেন । তিনি ঢাকা নগরীতে জলেম কল নিৰ্ম্মাণের জন্য দুইলক্ষ্য টাকা দান করেন। এতদব্যতীত তাহার গোপন দান যে কত ছিল তাহার হিসাব নাই । এইসব অজানিত দান ব্যতীত বৃহৎ বৃহৎ দানের পরিমাণ প্রায় আট লক্ষ টাকা । গভর্ণমেণ্ট তাহার বদান্ততার জন্য তাহাকে কয়েক বারে নবাব ; সি, এস, আই ; কে, সি, এস, আই উপাধি প্রদান করিয়া, সন্মানিত করেন। তিনি বঙ্গীয় এবং ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য মনোনীত হইয়াছিলেন। তিনি প্রত্যহ ৫০ হইতে ১০০ টাকা গরীবদিগকে দান করিতেন । অশ্বরোহণে নগর ভ্রমণ কালে পথের দুই ধারে সিকি, ইআনী ছড়াইয়া যাইতেন। ঢাকার হিন্দু মুসলমান প্রভৃতি সকল সম্প্রদায়ের লোকের উপর তাহার অসাধারণ প্রতিপত্তি ছিল। ১৮৬৯ খ্রীঃ অব্দে ঢাকাতে শিয়া ও মুন্নী সম্প্রদায়ের জীবনী-কোষ 0 6 ভাব অবলম্বন করিলে, নবাব বাহাদুর নিজ ব্যয়ে প্রায় বিশ সহস্ৰ লোককে এক বিরাট ভোজ দেন । সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে নানারূপ প্রলোভনের মধ্যে পড়িয়াও তিনি বিচলিত হন নাই। সেই সময়ে ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট তাহার নিকট হইতে নানাভাবে সাহায্য পাইয়াছিলেন । সম্রাট সপ্তম এডওয়ার্ড যুবরাজরূপে যখন ভারত ভ্রমণে আগমন করেন, নবাব বাহাদুরকে র্তাহার সহিত পরিচয় করাইয়া দেওয়া হয় । এবং যুবরাজ, র্তাহার ভারত ভ্রমণের স্মৃতি চিহ্নস্বরূপ র্তাহাকে একটি পদক উপহার দেন । এই উদারহৃদয় মহাপ্রাণ ধৰ্ম্মপরায়ণ নবাব ১৮৯৬ খ্ৰীঃ অব্দে ৮৩ বৎসর বয়সে পরলোক গমন করেন । আবদুল গফগর, শেখ–ৰ্তাহীর বাসস্থান হাওড়া জিলার চন্দ্রপুরে ছিল । তিনি ১২৮৮ বাংলা সালে ‘মুরবখত নও বাহার’ নামে এক থানা গ্ৰন্থ রচনা করেন । আবদুল জববর, কাজী – একজন বিখ্যাত বিদ্বান কাজী। তাহার জন্মস্থান তুর্কি স্থানের অন্তর্গত সমরথন প্রদেশ । তিনি সম্রাট বাবরের সঙ্গে ধৰ্ম্ম যুদ্ধ করিবার জন্ত ভারতবর্ষে আগমন করেন। বাবর দিল্লী অধিকার করিয়া যখন জৌনপুরের বিদ্রোহী শাসনকৰ্ত্ত বাহাদুর র্থ লোহানীকে