পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবদুল রহমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন । র্তাহার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই পুত্রদের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি লইয়া বিবাদ উপস্থিত হয় । অন্যতম পুত্র আবদুল্লা খ মহারাট্টাপতি সাহুর সাহায্য প্রার্থন। করেন। সাহু এই গৃহবিবাদের মুযোগে সিদ্দিদের অনেক স্থান অধিকার করেন । ইতিমধ্যে আবদুল্ল। খী নিহত হন। ইহার পূৰ্ব্বেই তাহার পুত্র আবদুল রহমান মহারাজ সাহুর অন্ততম সেনাপতি যশোবন্তরাও মহাদেব পটলিসের আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । এখন সাহুর সহিত জিঞ্জিবার সিদ্দিদের সন্ধি হইল। এই সন্ধি স্থত্রে আবদুল রহমান র্তাহার পিতামহের সম্পত্তির ১২টা মহল প্রাপ্ত হইলেন । আবদুল রহমান খা—জাজপুরের নবাব । ১৮৫৭ খ্ৰীঃ অব্দে (১২৭৪ হিঃ) সিপাহী বিদ্রোহের সময় তিনি বিদ্রোহী সিপাহীদিগের সঙ্গে যোগ দিয়াছিলেন, এই অপরাধে সেই বৎসরের ২৩ শে ডিসেম্বর তারিখে তাছার ফাসি হয় । তিনি প্রসিদ্ধ নজাবত আলি খার বংশধর । ১৮০৬ খ্ৰীঃ অব্দে বড়লাট সার জজ বালোর সময়ে সারে বার লক্ষ টাকা আয়ের সম্পত্তিসহ নারনল দুর্গ নজাৰত আলি থাকে প্রদান করা হয়। ইহা ছাড়া চারি শত অশ্বারোহী সৈন্ত রক্ষার জন্ত, বদধান ও দাদ্রি নামক স্থান র্তাহাকে দেওয়া হয় । ১৮৫৭ খ্রীঃ জীবনী-কোষ &68 অব্দের মে মাস পর্য্যস্ত র্তাহাকে ইংরেজদের বন্ধু বলিয়াই জানা ছিল। কিন্তু অবশেষে তিনি শত্রু পক্ষ অবলম্বন করেন । আবদুল রহমান চিস্তি—তিনি মীরআত-ই-মামুদ’ নামক সালার মামুদ, গাজির জীবন চরিত বিষয়ক গ্রন্থের প্রণেতা। এই গাজীর সমাধি অযোধ্যার অন্তর্গত বরোচ নগরে বিদ্যমান আছে । ১৬৮৮ খ্ৰীঃ অব্দে আওরঙ্গ জীবের রাজত্ব কালে আবদুল রহমানের মৃত্যু হয় । আবদুল রহিম খা—আকবরের প্রধান মন্ত্রী বৈরাম খার পুত্র । তিনি খান খানন ব৷ থান মির্জা নামেই পরিচিত । ১৫৫৬ খ্ৰীঃ আবেদ তাহার জন্ম হয় । তাহার চারি বৎসর বয়সে বৈরাম খ। নিহত হন । বয় প্রাপ্ত হইয়া তিনি সম্রাটের শরীররক্ষী সৈন্তের সেনাপতি হইয়াছিলেন। অব্দে গুজরাট যুদ্ধে গমন করেন । ১৫৮৯ খ্ৰীঃ অব্দে তোডরমল্লের মৃত্যুর পর তিনি প্রধান মন্ত্রী হইয়াছিলেন । ১৫৯৯ খ্রীঃ আবেদ তাহার কন্ত জানী বেগমের সহিত যুবরাজ দানিয়ালের বিবাহ হয়। তিনি তুর্কি ভাষায় লিখিত ওয়াকিত-ই-বাবরী ( বাবরের জীবন চরিত ) নামক গ্রন্থ ফাশীতে অনুবাদ করেন। আকবরের মৃত্যুর পর, তিনি ২১ বৎসর জাহাঙ্গীরের অধীনে কাজ করিয়াছিলেন । ১৬২৭ খ্ৰীঃ অব্দে

3i 8ש4 ל