পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१8७ মামুদ, সিরাজউদ্দৌলা শাহ কুলি থা বাহাদুর ও র্তাহার কনিষ্ঠ এক্রাম উদ্দৌলা উপাধি প্রাপ্ত হইলেন । সঙ্গে সঙ্গেই এই সকল উপাধির মর্য্যাদা রক্ষীর জন্য নোয়াজিস মোহাম্মদ ঢাকার শাসন ভার, সৈয়দ আহাম্মদ উড়িষ্যার ও জৈন উদ্দিন বিহারের শাসনভার প্রাপ্ত হইলেন । সরফরাজ খাঁর দুই পুত্র ও বেগম বৃত্তিলাভ করিয়া ঢাকায় আগমন করিলেন । দিল্লীর সম্রাট মোহাম্মদ সরফরাজ খাঁর সম্পত্তির মূল্য ও পাকী খাজানার দাবী করিয়া স্বীয় কৰ্ম্মচারী মুরিদ খাকে বাঙ্গালা দেশ অভিমুখে প্রেরণ করিলেন । চতুর আলীবর্দী অগ্রসর হইয়া রাজমহলেই তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন এবং কতিপয় হস্তী, কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও কয়েক লক্ষ টাকা প্রদানপুৰ্ব্বক, সেই বিপদ হইতে উদ্ধার পাইলেন । সরফরাজের ভগিনীপতি মুরশিদ কুলি খী, যুদ্ধক্ষেত্রে সরফরাজের পতন দৃষ্টে পলায়নপূর্বক উড়িষ্যার অtশ্রয় লইয়াছিলেন। আলী বদী খাঁ। তাছাকে উড়িষ্যা হইতে বিতাড়িত করিয়া, মধ্যম জামাতা সৈয়দ আহাম্মদকে উড়িষ্যায় স্থাপন করিলেন । किडु हेश और्षकांठा हाँध्नौ छ्हेल नां । অযোগ্য বিলাসী সৈয়দ আহাম্মদের অত্যাচারে উড়িষ্যাবাসীরা বিদ্রোহী ब्रहेन । भूब्रनिन कूशि थांब्र श्रछउभ श्रृंझ ভারতীয়-ঐতিহাসিক হইয়া পলায়ন করিলেন । আলীবাদী জামাতা বকির থ এই অবসরে উড়িষ্যাবাসীর আমন্ত্রণে সসৈন্সে উড়িষ্যায় গমন পূৰ্ব্বক সৈয়দ আহাম্মদকে পরাজিত ও বন্দী করিয়া দেশ অধিকার করিলেন । আলীবর্দী এই সংবাদে অতিমাত্র বিচলিত হইলেন । অবিলম্বে বিশ সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া উড়িষ্যায় উপস্থিত হইলেন । বকির খর্ণ পরাজিত জামাতা সৈয়দ আহাম্মদকে উড়িষ্যায় রাখা নিরাপদ মনে না করিয়া, তৎস্থলে অন্যতম সেনাপতি মামুদ থাকে নিযুক্ত করিয়া, প্রত্যাবর্তন করিতে মনস্থ করিলেন ; এই সময়ে এক নুতন বিপদ উপস্থিত হইল। মুরশিদ কুলি থার সেনাপতি মীর হবিব খ যুদ্ধের পরে নাগপুরের অধিপতি রঘুজী ভোসলের নিকট গমন করেন এবং তাঁহাকে বঙ্গদেশ আক্রমণ করিতে উৎসাহিত করেন । রঘুজী বঙ্গদেশ আক্রমণ করিবার এই সুযোগ পরিত্যাগ করিলেন না । তিনি সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিত ও রণকুশল আলী কারাওয়ালের ( এই ব্যক্তি পূৰ্ব্বে হিন্দু ছিল, পরে মুসলমান হয়) অধীনে ষাট । হাজার মহারাট্র সৈন্য দিয়া বঙ্গদেশ জয় করিতে প্রেরণ করেন । এই সঙ্গে মীর হবিবও আসিয়াছিলেম । নবাব আলী বন্দী খ মনে করিয়াছিলেন মহারাট্টার বিহার প্রদেশের ভিতর