পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলীবদ্দী জীবনী-কোষ ইতি মধ্যে আর এক ঘটনা সংটিত হইল। মহারাষ্ট্র। যুদ্ধের অবসান হইল মনে করিয়া, নবাব তীtহার সেনাপতিদের বেতন হ্রাস করিয়াছিলেন । ইহাতে প্রধান সেনাপতি মুস্তাফ খাঁ কৰ্ম্মত্যাগ করিয়া বাকী বেতন প্রার্থনা করেন । নবাব বা কী বেতন ১৭ লক্ষ টীকা দিয়া তাহীকে বিদায় দেন । মুস্তাফা খা আট হাজার অশ্বারোহী ও বহু সংখ্যক পদাতি সৈন্তসহ বিহার অভিমুখে রওনা হইলেন। পথে রাজমহল লুণ্ঠন করিলেন ও মুঙ্গের দুর্গ অধিকার করিলেন কিন্তু পাটনা অধিকার করিতে যাইয়া নবাব জৈন উদ্দিনের হস্তে পরাজিত হইলেন । অবশেষে এই জৈনউদিনের হস্তেই তিনি निश्ठ श्न । রঘুজী ভোঁসলে বিপুল সৈন্ত সংগ্ৰহপূর্বক সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিতের হত্যার প্রতিশোধ লইতে স্বীয় পুত্র জামুজী (জনক জী), সেনাপতি মোহন সিংহ ও হবিব খাকে বঙ্গদেশে প্রেরণ করেন । কাটোয়ার সন্নিকটে নবাব সৈন্তের সহিত র্তাহাদের যুদ্ধ হয় । নবাব জয়ী হইলে, তাহারা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন । কিন্তু উড়িষ্যা র্তাহীদের হস্তে রহিল। মুস্তাফ খার বিদ্রোহ সময়ে উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্ত আবদুল রসুল খা, স্বীয় আত্মীয় মুস্তাফ খার সঙ্গে যোগ দিবীর জল্প উড়িষ্যা ՏՑԿ ত্যাগ করিয়াছিলেন । সেই পদে নবাব আলী বন্দী খ বিশ্বস্ত সেনাপতি দুর্লভ রামকে উড়িষ্যার শাসনকৰ্ত্তার পদে নিযুক্ত করেন। তিনি অতিশয় সন্ন্যাসী ভক্ত ছিলেন । মহারাট্ট সৈনিকেরা সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে তাঁহাকে বেষ্টন করিয়া রহিলেন । রঘুজী ভোঁসলের পুত্র জানুজ ( জনক জী ) যখন উড়িষ্যা আক্রমণ করিলেন, তখন র্তাহার বিরুদ্ধে এই জন্তই দাড়াইতে পারিলেন না । মহারাট্রীরা উড়িষ্যা অধিকার করিল । এই সময়ে আর এক বিপদ উপস্থিত হইল । আলী বন্দী খ। তাহার সেনাপতি সমসের খাঁ, সরদার খা, মুরাদ শের খ7 ও হাস্থাত থাকে সন্দেহ বশে পদচ্যুত করেন । তাহার। তাহীদের প্রাপ্য বেতন গ্রহণপূর্বক তাতাদের দ্বারভাঙ্গাস্থিত জায়গীরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । বিহারের নবাব জৈনউদ্দিন তাহাদিগকে পুনৰ্ব্বার সৈন্য শ্রেণীতে প্রবেশ করিবার জন্ত আহবান করেন । র্তাহারা নবাব জৈনউদিনের সহিত সাক্ষাত করিতে দরবারে প্রবেশ করিলেন । এমন সময়ে সমসের খণর ভাগিনেয় মুরাদ শের খা তরবারির আঘাতে জৈনউদিনের উদর বিদীর্ণ করিলেন । নবাব তখনই পঞ্চত্ন প্রাপ্ত হইলেন । মৃত নবাবের পরিবারবর্গ সমসের খায় অন্তঃপুরে স্থান লাভ করিল। হাজী