পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9లిపా লোক স্বাক্ষর করেন । তদ্ভিন্ন বদ্ধমানের মহারাজা মহাতপচাদ বাহাদুর স্বতন্ত্র একখানি আবেদন পত্র প্রেরণ করেন । কলিকাতার বাহিরে নদীয়ার भशं ब्रांज डी*कठ् ७द९ फ्रांक, भग्नभनসিংহ প্রভৃতি স্থানের অনেক ধনী ও পদস্থ লোক ও ঐরূপ আবেদন প্রেরণ করেন । বহু সহস্ৰ লোক এইরূপ সমবেতভাবে উপরোক্ত আইন প্রণয়নের প্রার্থনা জানাইয়া আবেদন করায় বঙ্গদেশে এক তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইল । বিধবা বিবাহকে উপলক্ষ করিয়া বিখ্যাত গায়ক দাগুরায় এক পাচালীর পালা রচনা করিলেন । নানাস্থানে সঙ্গীত রচিত হইতে লাগিল । বিধবা বিবাহ নাটক রচিত হইয়া অভিনীত হইল। শান্তিপুরের র্তাতিরা কাপড়ের পাড়ে বিধব। বিবাহের গানের পদ বুলিতে লাগিল । এইভাৰে দেশের শিক্ষত, অশিক্ষিত, আবালবৃদ্ধবনিতার মধ্যে এই আন্দোলনের প্রভাব অমুভূত হইতে লাগিল । কিন্তু ঐ বিধবা বিবাহ প্রচলনের বিরুদ্ধেও একটি প্রবল সঙ্ঘ ছিল । শোভাবাজারের রাজা স্তরে রাধাকান্ত দেব ঐ দলের নেতা ছিলেন। র্তাহাদের পক্ষ হইতে বিধবা বিবাহ প্রচলনের অযৌক্তিকত প্রদর্শনপূর্বক আবেদন প্রেরিত হইয়াছিল । সেই আবেদন পত্রে স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা প্রায় ত্রিশ ভারতীয়-ঐতিহাসিক अॅचब्रध्टत्र হাজার ছিল যাহা হউক নানারূপ বিপক্ষতাসত্ত্বেও ১৮৫৬ খ্ৰীঃ অব্দের ২৬শে জুলাই ভারত গবৰ্ণমেণ্টের ব্যবস্থাপক সভায় বিধবাবিবাহ আইন বিধিবদ্ধ হইল । রাজামুগ্রহে বিধবাবিবাহের, বৈধতা প্রতিপাদক ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ করাইয়াই ঈশ্বরচন্দ্র ক্ষান্ত হইলেন না। অতঃপর তিনি পরমোৎসাহে বিধবাবিবাহ প্রচলনের জন্য উদ্যোগী হইলেন । আইন প্রণীত হইবার পর চারিমাসের মধ্যেই মহাসমারোহে কলিকাতায় প্রথম বিধবা বিবাহ সম্পন্ন হইল । ১২৭৩ বঙ্গাব্দেয় ২৩শে অগ্রহায়ণ রামধন তর্কবাগীশের পুত্ৰ শ্ৰীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ব্রহ্মানন্দ মুখোপাধ্যায়ের দশম বর্ষীয়া বালবিধবা কন্যা কালীমতীকে যথাশাস্ত্র বিবাহ করেন । কস্তার পিতা লোকান্তরিত হওয়ায় কস্তার মাত লক্ষ্মীমণি দেবী কন্যা সম্প্রদান করেন । তাহার অব্যবহিত পরেই পাণিহাটি গ্রামনিবাণী কৃষ্ণকালি ঘোষের পুত্র মধুস্থদন ঘোষ, কলিকাতা নিবাসী নিমাইচরণ মিত্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র মিত্রের বিধবা কন্যাকে বিবাহ করেন । অতঃপর ধীরে ধীরে দেশের নানাস্থানে দুই একটি করিয়া বিধৰ৷ বিবাহ সম্পন্ন হইতে লাগিল। ঐ সকল বিবাহের অনেকগুলিতে ঈশ্বরচন্দ্রকে ব্যয় ভার বহন করিতে হইয়াছিল।