পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপেন্দ্র কিশোর এক সম্পন্ন গৃহস্থের পুত্র ছিলেন । বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, জীবিকার্জনের জন্য কোন পথ অবলম্বন করিবেন, এই বিষয়ে র্তাহার মাতাপিত গভীর চিন্তা করেন। তৎকাল প্রচলিত বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে কোন ও একটও র্তাহীদের মনঃপূত হয় নাই । পরিশেষে তাহারা বৌদ্ধ সন্নাসী সম্প্রদায় ভুক্ত হওয়াই সৰ্ব্বাপেক্ষা সুবিধাজনক বলিয়া বোধ করিলেন ; কারণ ঐ সকল সন্ন্যাসী মুখে স্বচ্ছদে বাস করিতেন। তাহাদের আহার বিহারের কোনই কষ্ট হইত না এবং তাহারা জন সাধারণের সম্মান লাভ করিতেন । মাতাপি তার মনোভাব বুঝিতে পারিয়া, উপালি সহচরগণ সহ প্ৰব্ৰজ গ্রহণপুৰ্ব্বক বৌদ্ধ সজেঘ প্রবেশ করিলেন । তখন তাহারা সকলেই লিংশতি বর্ষের অনধিক ছিলেন। কিন্তু সজেঘ প্রবেশ করিয়া র্তাহারা ভিক্ষুদিগের পালনীয় কঠোরত সহ করিতে পারিলেন না এবং বিশেষরূপ সুখ সুবিধার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন । তাহ দেখিয়া বুদ্ধদেব এই ব্যবস্থা করেন যে, বিংশতি বর্ষের অনধিক ব্যক্তিকে সঙ্ঘে গ্রহণ করা হইবে না । উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী— বাঙ্গালা শিশু সাহিত্যের একজন প্রথম পর্যায়ের লেখক ও সাহিত্যিক । ১২৭০ বঙ্গাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন । তিনি জীবনী-কোষ ولا O4\ ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ মহকুমায় এক খ্যাতনামা জমিদার বংশোদ্ভূত ছিলেন । তাহার পিতা কালীনাথ রায় ংস্কৃত ও পাশী ভাষায় বিলক্ষণ বুৎপন্ন ছিলেন। কালীনাথের জ্যেষ্ঠ পুত্র সারদারঞ্জন ও মধ্যম পুত্র কমিদ রঞ্জন। এই কামদারঞ্জনই বাল্যকালে স্বীয় খুল্লতাত ইরিকিশোর রায় চৌধুরী কর্তৃক দন্তকপুত্ররূপে গৃহিত হইয়া, উপেন্দ্রকিশোর নামে পরিচিত হন । তিনি বাল্যকালেই মেধাবী ছাত্ররূপে পরিচিত ছিলেন । সাধারণ পাঠ ভিন্ন চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীতবিদ্যা প্রভৃতি সুকুমার কলাতেও শহীর প্রতিভার পরিচয় পাওয়া গিয়াছিল । প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া, তিনি পনের টাকার একটি বৃত্তি লাভ করেন। ময়মনসিংহে থাকিবার সময়েই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রভাবের মধ্যে পড়েন এবং উচ্চ শিক্ষা লাভ করিবার জন্ত কলিকাতায় আসিয়া প্রকাগু ভাবে ব্রাহ্মসমাজে যোগ দেন এবং কিছুকাল পরে স্বনাম খ্যাত দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীর কন্যাকে বিবাহ করেন । শিশু সাহিত্যে উপেন্দ্র কিশোরের দান বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য । র্তাহার রচিত ছেলেদের রামায়ণ, ছেলেদের মহাভারত ও মহাভারতের গল্প, এই শ্রেণীর পুস্তকের পথপ্রদর্শক বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । তদ্ভিন্ন বিবিধ শিশু পাঠ্য পত্রিকায় বহু আনন্দ