পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনীকোষ-জাতী—পোৱাৰি। দোগ্ধা ছিলেন । মৎ-১ • । বক্ষধা দেখ । (৪) জগৎ-স্বষ্টি সমাপ্ত করিয়া ব্ৰহ্ম৷ বৈশ্রবণকে রাজগণের আধিপত্যে স্থাপন করেন। অ-১৯ । (৫) বৈশ্রবণ একজন ঋষিক ছিলেন। বৃহদ্ভুক্থ দেখ । বৈশ্ৰবণ পূৰ্ব্বজন্মে সোমশৰ্ম্ম নামে এক ব্রাহ্মণের অতি দুক্ৰিয়াম্বিত পুত্র ছিলেন। তখন র্তাহার নাম ছিল দুঃসহ। তার পর তিনি মুহূমুখ নামে গান্ধার দেশের অধিপতি হইয়া জন্মগ্রহণ করেন । সেই জন্মেও তিনি সৰ্ব্বধৰ্ম্মবহিস্কৃত ঘোর মূর্খ ছিলেন। কিন্তু পূৰ্ব্বজন্মের কার্য্য স্মৃতিপথে উদিত হওয়ায়, তিনি পরম ভক্তিভরে নানা উপচারে শিবপূজা করিতে লাগিলেন এবং সেই পূজাপ্রভাবে পরজন্মে বিশ্ৰবা মুনির পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন। শিবের প্রসাদে তিনি কুবেরত্ব প্রাপ্ত হন। সোঁ-৪৭ । (৭) কৈলাসগিরির মধ্যভাগে এক কুন্দ-কুমুমসম শুভ্রবর্ণ রমণীয় শৃঙ্গতট বিদ্যমান । তথায় বৈশ্রবণের অলকা নামী পুরী অবস্থিত। তাহার সভার নাম বিপুল এবং বিমানের নাম পুষ্পক । বায়ু-৪১ । (৮) বৈশ্রবণ বৃহস্পতির কন্যা দেববর্ণিনীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি রূপে রক্ষিসের মত এবং বিক্রমে অসুরের মত ছিলেন । ইহার পিতা ' বিশ্ৰবা ইহাকে ত্রিপাদ, মহাকায় স্থলশিখ, অষ্টদ্ৰংষ্ট্র, হরিবর্ণ পাশ্রবিশিষ্ট, هاد داد ] শঙ্কুকৰ্ণ, লোহিতবর্ণ, হ্রস্ববাহ, প্রবাহ, পিঙ্গল, ভীষণ, বৈবৰ্ত্তজ্ঞান-সম্পন্ন ও বিশ্বরূপধর দেখিয়া বলিলেন “এই বালক স্বয়ং কুবের । কেননা কু শব্দের অর্থ কুৎসা, বের অর্থ শরীর। কুশরীরবশতঃই এই বালক কুবের নামে প্রসিদ্ধ হইবে । এবং পিতা বিশ্রবার সহিত সাদৃশ্ব-হেতু এই বালক বৈশ্ৰবণ মামেও খ্যাত হইবে।” কুবের অথবা বৈশ্রবণ ঋদ্ধির গর্ভে নলকুবেরকে উৎপাদন করেন । বায়ু-৭০ ৷ (৯) বিশ্রবার পুত্র বৈশ্রবণ অতু্যগ্র তপস্তাদ্বারা শিবের আরাধনা করিয়া বিশ্বকৰ্ম্ম নিৰ্ম্মিত অলকাপুরী ভোগ করেন । র্তাহার তপস্যায় সন্তুষ্ট হইয়া মহেশ্বর উমা-সহ তাহাকে দর্শন দেন । মহেশ্বরের বরেই তিনি নিধি সমূহের অধিপতি ; গুহকদিগের অধীশ্বর ; যক্ষ, কিন্নর ও রাজগণের রাজা, রাক্ষসগণের প্রভু ও সকলের ধনদাতা হন । শিবের সহিত তাহার সখিত্ব হয়। তাহারই প্রতিবন্ধনের নিমিত্ত শিব অলকাপুরীর সমীপবৰ্ত্তী স্থানে সৰ্ব্বদা বাস করেন । শিব উমা-সহ কুবেরের সন্নিধানে উপস্থিত হইলে, তিনি চক্ষু উন্মীলন করিয়া তাহাদিগকে অবলোকন করেন ; কিন্তু শিব পাৰ্ব্বতীর রূপ-তেজ সহ করিতে না পারিয়া পুনরায় । চক্ষু নিমীলিত করেন । তখন বৈশ্রণের প্রার্থনায় শিব করতল স্বায়া স্পর্শ করিয়া