পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয় পৌরাণিক । যথোচিত পূজা কর, তাহা হইলেই তোমার পতিকে পুনঃ প্রাপ্ত হইবে।” ঐ দৈববাণী শুনিয়া পরম আহলাদিত হইয়া, রতি ভক্তিভরে সেই মাহেশ্বরলিঙ্গের পূজা করেন। তৎফলে কামদেব পুনর্জীবিত হইলেন। তদবধি ঐ মাহেশ্বর লিঙ্গ কামেশ্বর নামে খ্যাত হইলেন। স্কন্দ-প্রভা-প্রভা-৯৬ । (৭) শিবের লোচনাগ্নিতে মদন দগ্ধ হইলে, তৎপত্নী রতি শোকাকুলা হইয়া পতির সহিতু সহমরণে যাইবার জন্য চিতারোহণ করেন। তখন এইরূপ দৈব বাণী হয়, “তুমি সহমরণে যাইও না। তৎপরিবর্তে তপস্যা দ্বারা শিবকে সন্তুষ্ট কর । তাহাহইলেই তোমার পতি পুনর্জীবিত হইতে পরিবেন।” এই দৈববাণী শুনিয়া রতি, চিতা হইতে উত্থান করিয়া তীব্র তপস্তায় নিযুক্ত হইলেন । স্বদীর্ঘকাল তপস্তা কবিলে, মহাদেব সস্তুষ্ট হইয়া বর প্রথিনা করিতে বলিলেন । রতি কামদেবেল পুনর্জীবনলাভ প্রার্থনা কবি で নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি নিৰ্মাণ করিয়া, শম্বর অসুরকে বঞ্চনা করেন। শিব-ধৰ্ম্ম১৩ । বিষ্ণু-৫ম-১৭। ব্ৰহ্মপু-২০০ । মায়াবতী দেখ । (৯) পাৰ্ব্বতীর সহিত শিবের বিবাহ সভায় অন্তান্ত দেবদেবীগণসহ রতিও উপস্থিত ছিলেন। বিবাহান্তে রতি শোকাকুলা হইয়া ইন্দ্রকে বলিলেন, “পূৰ্ব্বে আপনার আদেশ পালন করিতে যাইয়াই আমার পতি প্রাণত্যাগ করিয়াছেন। তখন আপনারা আমাকে আশ্বাস দেন যে, আমার পতি পুনঃ জীবন লাভ করিবেন। এক্ষণে হর, পাৰ্ব্বতীর পাণিগ্রহণ করাতে আপনাদেরও মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইযাছে। কেবল আমার পতিই এ যাবৎ প্রাণ লাভ করিলেন না ।” রতির এইরূপ বিলাপ শুনিয়া ব্ৰহ্মা, ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ মহাদেবের নিকট সকল ঘটনা বিবৃতি করিয়া, কামদেবের প্রাণদানের জন্য র্তাহাকে অনুরোধ করেন। তাহদের অনুরোধে মহাদেব মদনকে পুনর্জীবিত করিয়া দেন। নে ন ! মহাদেব সেই বর দিলে কামদেব | শ্ৰীমহা-২৭ (১০) মদনের মৃত্যুতে জীবন লাভ করিলেন। স্কন্দ-প্রভা- রতিকে অতিশয় শোকাকুল দেখিয়া আৰু ৪০ । (৮) কামদেব দগ্ধ হইলে বতি ও প্রাণত্যাগ কবিয়া, জন্মান্তরে ময়দানবেব গৃহে জন্মলাভ করেন। শম্বর অসুর ময়দানবের গৃহ হইতে তাহাকে হরণ করিয়া লইয়া গেলে, তিনি (রতি) নিজ অনুরূপ এক কাষ্ঠ দেবগণ কামদেবকে পুনর্জীবিত করিয়া দিবার জন্য বারংবার মহাদেবকে অমুরোধ করিতে লাগিলেন । মহাদেব র্তাহাদের প্রার্থনায় মদনের প্রাণদান করিলেন বটে, কিন্তু তদবধি কামদেব কায়বিহীন হইয়া দিব্যদেহে বিরাজ