পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ-ভারতীয় পৌরাণিক । निश्ड इम्न । ८ कक्षण अकन्छन नामक একজন রাক্ষস জীবিত ছিল । সে লঙ্কায় পলায়ন করিয়া সুর্পনখার ভ্রাতা রাক্ষসরাজ রাবণের নিকট সমুদয় ঘটনা নিবেদন করে । রাবণ সমুদয় ঘটনা শুনিয়া ক্রোধে উদ্দীপ্ত হইয়া, স্বয়ংই রাম-লক্ষ্মণকে বধ করিবার জন্ত যাইতে উদ্যত হন। অকম্পন রাবণকে রামের শৌর্য্যের কথা বলিয়া, পরামর্শ দিল, যে রাবণ যদি সীতাকে হরণ করিয়া লইয়া আসে, তাহা হইলেই সীতার শোকে রাম অবশ্য প্রাণত্যাগ করিবেন। অকম্পনের কথা যুক্তিযুক্ত মনে করিয়া, রাবণ তাড়ক রাক্ষসীর পুত্র মারীচের সাহায্য লাভের জন্ত গমন করিলেন । মারীচ রাবণের মনোভিপ্রায শুনিয়া, তাহাকে ঐকপ কার্য্য হইতে বিরত থাকিবার জন্য, বাবংবাব অতুবোধ করিল। প্রথমে বাবণ তাহাব পৰামর্শ শুনিয়া লঙ্কায় প্রত্যাবর্তন করেন । কিন্তু ছিন্ন-নাশাকণী, বোরুদ্যমান স্থপনখাকে তথায় উপস্থিত দেখিয়া, তাহার ক্রোধানল পুনরায় উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিল। তিনি পুনবায় মারীচের আশ্রমে গমন করিয়া, তাহার সাহায্য প্রার্থনা করিলেন । মারীচ অসম্মতি জ্ঞাপন বৃথা বুঝিয়া, রাবণের পরামর্শ মত স্বর্ণমৃগের রূপ ধারণপূর্বক রামের আশ্রমের নিকট বিচরণ করিতে লাগিল । রাম সীতার Seas প্রার্থনায় ঐ স্বর্ণমৃগকে ধরিবার জন্ত তাহার অনুসরণ করেন এবং কিয়ৎকাল পরে রামের কাতর কণ্ঠস্বর গুনিয়া, সীতাকে কুটীরে রাখিয়া লক্ষ্মণ, রামের অনুসন্ধানে গমন করেন । রাবণ এই সুযোগেরই প্রতীক্ষায় কুটীরের নিকটেই লুক্কায়িত ছিলেন। লক্ষ্মণ চলিয়া যাইবার পরক্ষণেই, রাবণ ছদ্মবেশে ভিক্ষার্থী হইয়া সীতার সমীপে গমন করিলেন এবং নানারূপে সীতার রূপ গুণের প্রশংসা করিয়া, সীতার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন এবং সীতার নিকট তাহাদের বিবরণ শ্রবণ করিয়া, নিজ পরিচয়ও দিলেন । অতঃপর রাবণ সীতাকে নানারূপ প্রলোভন দেখাইয়া, তাহাকে বিবাহ করিবার জন্তু প্রয়াস পাইতে লাগিলেন। কিন্তু সীতা রাবণের কোনও প্রার্থনায়ই সন্মত হইলেন না দেখিয়া রাবণ স্বমূৰ্ত্তি-ধারণ করিয়া, বলপূর্বক সীতাকে নিজরথে আরোহণ করাইয়া, লঙ্কাভিমুখে যাত্রা করিলেন । সীতা ষ্ট্রীয়মাণা হইয়া আকুল স্বরে বিলাপ করিতে লাগি লেন । তাহার ঐ করুণ ক্রমনে পক্ষীরাজ জটায়ুর কর্ণগোচর হইল। জটায়ু রাবণকে সীতাকে হরণ করিতে দেখিয়া, প্রথমে তাহাকে ঐ অপকৰ্ম্ম হইতে বিরত থাকিবার জন্ত নানারূপ পরামর্শ দিলেন। কিন্তু রাবণ জটায়ুর কোনও পরামর্শ গ্রহণ করিলেন না।