পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఆb হন্তে একটি জীর্ণদণ্ড, সৰ্ব্বাঙ্গ বলী পক্ষুি, মস্তক জরাকম্পিত । এইরূপ বেশ ধারণপূর্বক গমন করিতে করিতে শঙ্কর সর্থীগণ-পরিবৃত দীক্ষায়ণীকে औषनैौ-८कॉर्य-डॉब्रडौञ्च cशोब्रॉनिक । কুপিত হইলেন এবং তাহার শিবভক্তির প্রতি কটাক্ষ করিয়া বলিলেন, “তোমার বুদ্ধি যেরূপ বৃষের ন্তায় এবং তুমি যেরূপ শিবভক্তি দেখাইতেছ, উস্তানে ভ্রমণ করিতে দেখিলেন। তখন তাহাতে তোমার বৃষ হওয়াই উচিত তাহাদের সমীপে গমনপূৰ্ব্বক সর্থীগণের নিকট পাৰ্ব্বতীর পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। সর্থীগণ সহানুভূতিস্থচক বাক্যে শিবের নিকট সতীর পরিচয় স্বয়ম্বর সভায় শিবের উদ্দেশু সতীর মাল্যপ্রদান, তজ্জন্ত পিতাকর্তৃক তিরস্কৃত ও র্তাহার বিরাগভাজন হওয়া প্রভৃতি সমুদয় ঘটনা, বিবৃত করিলেন । , তাহাদের বাক্য শ্রবণ করিয়া শিবও সতীর দুর্ভাগ্যের জন্ত সহানুভূতি প্রকাশ করিয়া বলিলেন—“শস্তু যখন মুখতাবশতঃ এইরূপ স্ত্রীরত্বের প্রতি বিমুখ, তখন তাহার প্রত্যাশায় অপেক্ষা করা সম্পূর্ণ অনাবশ্বক। বরঞ্চ দক্ষিণস্বণীর আপত্তি না থাকিলে, তিনিই তাহাকে বিবাহ করিতে সম্মত আছেন । ছদ্মবেশী শস্তুর এই কথা শুনিয়া, রত্নমুখী নামী পাৰ্ব্বতীর এক সর্থী, তাহাকে যৎপরোনাস্তি তিরস্কার করিয়া তদণ্ডেই সেস্থান পরিত্যাগ করিতে বলিলেন । কিন্তু নীলকুন্তলা নামী অপর সপী বৃদ্ধের বাক্যে ও ব্যবহারে সন্দিহানা হইয়া, অপরাকে বলিল যে, ঐ বৃদ্ধ তাহার বিরেচনায় ছদ্মবেশী সদাশিব স্বয়ং । নীলকুন্তলার বাক্যে রত্নমুখী আরও ছিল।” নীলকুন্তলা তাহাতে বিন্দুমাত্র দুঃখিত না হইয়া বলিলেন যে, তাহ তিনি পরম সৌভাগ্যকর বলিয়া বিবেচনা করেন, তাহা হইলে তিনি নিয়ত শিব সন্নিধানে উপস্থিত থাকিয়া শিব ও শিবানীকে সৰ্ব্বক্ষণ দর্শন কবিয়া ধন্য হইবেন । এই কথা বলিতে বলিতে নীলকুন্তলা বৃষরূপ ধারণ করিলেন এবং শস্তুও স্বীয়রূপ ধারণপূর্বক সেই বৃষরূপী নীলকুন্তলার স্কন্ধে আরোহণ করিলেন। অমনই চাবিদিকে জয়ধ্বনি হইতে লালি এবং স্বয়ং সতীপত্তি আগমন করিয়াছেন বলিয়া, চাবিদিকে কোলাহল উপস্থিত হইল । তাহ দেখিয়। শঙ্কব সহসা অন্তৰ্হিত হইলেন । তখন সকলে উদ্বিগ্ন হইয, নানাস্থানে তাহাকে অতুসন্ধান কবিতে লাগিলেন । কিন্তু কেহই আর র্তাহাব সন্ধান পাইল না ; অতঃপর নন্দী নামক এক ভার্কিক ষ্টতস্তত: ভ্ৰমণ করিতে করিতে নগরীর বহির্ভাগে, এক দুৰ্ব্বল, ক্ষুধাৰ্ত্ত, জীর্ণ বুদ্ধকে শয়ান দেখিতে পাইলেন। সেই বৃদ্ধের সন্নিকটেই এক শুক্লবৰ্ণ বৃষ বিচরণ করিতেছিল । ননী সেই বৃন্ধকে, দেখিয়া, তিনিই যে দেবদেব মহেশ্বর