পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৪২ ] जैौवनैौ-८कांव-डांब्रउँौद्र-८शोब्रॉनेिक । -o-oooo som অতি সমাহিতচিত্তে ধ্যানযোগে তাহার । ( ৪২ ) প্রলয়াস্তে সমুদয় পৃন্ধি পরিদর্শন করিয়া রৌদ্রী গায়ত্রী মুৰ্ত্তির ধ্যান ও ঐ রৌদ্রীমূৰ্ত্তি বিষক্মিণী বৈদিকী বিস্তার জপাদি সমাপনপূর্বক, মহাদেবের ধ্যানে নিযুক্ত হইলেন । মহাদেব তাহাতে তুষ্ট হইয় তাহাকে দিব্যযোগ, ষড়ৈশ্বর্য্য, জ্ঞানসম্পদ এবং বৈরাগ্য অর্পণ করিলেন। স্বয়স্থর এই পীতবর্ণ কল্প অতীত হইবার পর লিতকল্প নামক অন্য কল্প প্রবর্তিত হইয়াছিল। পূৰ্ব্ব কল্পের অবসানে পৃথিবী যখন দিব্য সহস্ৰ বৎসর একৰ্ণিবে অবস্থিত ছিল, ব্রহ্মা সেই সময়ে পূৰ্ব্ব স্বাক্ট নাশ হওয়ার দুঃখিতচিত্ত হইয়া পুনঃ স্বষ্টিকামনায় চিন্তা করিতে করিতে কৃষ্ণবর্ণ হইয় উঠেন । এই চিন্তাবসরেই পিতামহ ব্ৰহ্মা দেখিলেন তেজঃপ্রদীপ্ত মহাবীর এবং কৃষ্ণবস্ত্র, কৃষ্ণউষ্ণীস, কৃষ্ণযজ্ঞোপবীত, কৃষ্ণমাল্য, কৃষ্ণাঙ্গুলেপনসম্পন্ন, কৃষ্ণবর্ণ এক মূৰ্ত্তির প্রাদুর্ভাব হইতেছে । র্তাহাকে দেখিয়াই ব্রহ্ম। প্রাণায়াম অবলম্বনপূর্বক হৃদয়ে যতীশ্বর পরমব্রহ্ম মহাদেবরূপ প্রতিষ্ঠিত করিয়া তাহার বন্দনা করেন । অতঃপর এই সিতকল্পের অবসানে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বিলয় পাইবার পর পুনৰ্ব্বার স্বষ্টিকাল উপস্থিত হইলে, ব্রহ্মা পুত্রাভিলাষে ধ্যানাবলম্বন করিলেন । তাহাতে মহানাদশালিনী বিশ্বরূপ। সরস্বতীর আবির্ভাব হুইল ব্ৰহ্মা-২e =২৩ । গাঢ় অন্ধকারে আচ্ছন্ন ভয়ঙ্কর একীর্ণবরূপে অবস্থান করিলে, বিষ্ণু নাগরাজের ফণার উপর শয়ন করিয়া রহিলেন । তিনি সেই শয্যায় শয়ান থাকিয়াই ক্রীড়া করিবার অভিপ্রায়ে স্বীয় নাভিহ্রদ হইতে তরুণতপনোপম-দীপ্তিবিশিষ্ট, শত-যোজন-বিস্তীর্ণ বজের ন্যায় দণ্ডসমন্বিত অতু্যচ্চ একটি পদ্মের স্বষ্টি করিলেন । তিনি সেই পদ্ম লইয়া ক্রীড়াসক্ত আছেন, এমন সময়ে হেমগর্ভাঙ্গজাত, স্বর্ণবর্ণ, চতুর্মুখ, বিশাললোচন ও ইন্দ্রিয়াতীত ব্ৰহ্মা যদৃচ্ছাক্রমে তথায় উপস্থিত হইলেন এবং বিষ্ণুকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“আপনি কে ?” বিষ্ণু বলিলেন, “স্বর্গ, অন্তরীক্ষ, ভূত প্রভৃতি যে সকল পদার্থ স্বল্প হইয়াছে আমিই একমাত্র তৎসমুদয়ের স্বষ্টিকৰ্ত্তা"। এই বলিয়া তিনি ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—“আপনি কে ? কোথা হইতেই বা আপনি এখানে উপস্থিত হইয়াছেন এবং এ স্থান হইতেই বা আপনি কোথায় হইবেন ? আপনার বাসস্থান কোথায় ?” ব্রহ্ম। উত্তর করিলেন,—“আপনার স্তায় আমিও একজন আদি স্বষ্টিকর্তা প্রজাপতি । আমার নাম নারায়ণ । আমিই সমগ্র জগতের আশ্রয় স্থল।” বিষ্ণু ব্ৰহ্মার বাক্য শ্রবণ করিয়া নিতান্ত বিস্ময়াপন্ন হইয়া কৌতুহল নিবৃত্তির জন্ত ব্ৰহ্মার