পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক । [ ১১৪৩ আদেশ গ্রহণপূর্বক তাহার মুখ মধ্যে প্রবেশ করিলেন এবং তথায় সাগরপৰ্ব্বতাদি পরিবেষ্টিত, অষ্টাদশ দ্বীপ এবং চতুৰ্ব্বৰ্ণ বিশিষ্ট ব্রহ্মাদি স্তম্ব পর্য্যন্ত সপ্ত সনাতন লোকাদি যাবতীয় পদার্থ অবস্থিত দেখিয়া বার বার তাহার তপোবলের প্রশংসা করিতে লাগিলেন । সেই উদরমধ্যেই তিনি নানাবিধ আশ্রমশালী বিবিধ লোক পরিভ্রমণ করিয়া সহস্ৰ বৎসরেও তাহার ইয়ত্ব করিতে পারিলেন না। তখন ভগবান বিষ্ণু পুনৰ্ব্বার ব্রহ্মার মুখ হইতে বহির্গত হইয়া তাহকে বলিলেন -“আমি ত আপনার উদরের মধ্যে কাল ও দিকের আদি, মধ্য, অস্ত্য এবং উদরেরও শেষ সীমা লক্ষ্য করিতে পারিলাম না । এক্ষণে আপনিও আমার উদর মধ্যে প্রবেশ করিয়া অপ্রতিম লোক সমুদয় অবলোকন করুন” । বিষ্ণুর এই কথা শুনিয়া ব্ৰহ্মা, তাহাকে অভিবাদনপূৰ্ব্বক তাহার উদর মধ্যে প্রবেশ করিয়া বহু পরিভ্রমণেও অন্ত নির্দেশ করিতে পারিলেন না। এই সময়ে অনন্তশক্তি বিষ্ণু ব্ৰহ্মার নির্গমনকাল অনুভব করিয়া দ্বার সমূহের সম্যক অবরোধপূর্বক সেই সাগর জল মধ্যে নিদ্রিত রহিলেন । তখন ব্রহ্ম সমুদয় দ্বারপথ অবরুদ্ধ দেখিয়া স্বাক্ষরূপ গ্রহণপূর্বক নাভিস্বারে উপনীত হইলেন এবং তথা হইতে পদ্মস্থত্র পথের অনুসরণ করির নির্গত হইয়া সেই নাভিপদ্মের উপরিভাগে পদ্মগণের ন্তায় কান্তি সম্পন্ন চতুর্মুখ মূৰ্ত্তিতে বিরাজ করিতে লাগিলেন। এইভাবে অবস্থান করিতে থাকিলে বিষ্ণু,ব্ৰহ্মার তেজ সহ করিতে অপারগ হইয়া, তাহাকে নাভিপদ্ম হইতে অবতরণ করিতে বলেন । তদুত্তরে ব্রহ্মা বলিলেন—“ আপনি বর প্রদান করুন । আমি পদ্ম হইতে অবতরণ করিতেছি।” তখন বিষ্ণু বলিলেন—“আপনি আগে আমার পুত্রত্ব স্বীকার করুন। তাহাতে অত্যধিক প্রীতিলাভ করিতে পারিবেন । আজ হইতে আপনি সত্যধন, মহাযোগী, ও কারাত্মক পূজ্য, পদ্মযোনী নামে প্রখ্যাত হইবেন । ব্ৰহ্মা-২৪-২৫ । ( ৪৩ ) আদি কল্পকালে ব্রহ্মা আত্মপ্রতিম পুত্রের জন্য চিন্তা করিতেছিলেন। ঐ সময়ে তাহার ক্রোড়দেশে যেন তেজোরাশী দ্বারা দহনোদ্যত নীললোহিতবর্ণ এক কুমার প্রাচুভূত হইয়া, ঘোর সুস্বরে রোদন করৈিত লাগিলেন । ব্রহ্ম। কুমার নীললোহিতকে সহসা এইরূপ রোদন করিতে দেখিয়া,ৰ্তাহাকে রোদনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। কুমার উত্তর করিলেন—“প্রথমে আমার নাম প্রদান করুন” । তদনুসারে ব্রহ্মা তাহাকে বলিলেন”তুমি রুদ্র নাম প্রাপ্ত হইলে ”এইরূপ নাম প্রাপ্তির পর কুমার পুনৰ্ব্বার রোদন করিতে প্রবৃত্ত হইলে,ব্ৰহ্মা তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন উত্তরে