পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক । মনে মনে এই সংকল্প করিয়া ব্যাসদেব সুমেরু পৰ্ব্বতে যাইয়া ঘোরতর তপস্তায় নিযুক্ত হইলেন। তিনি তথায় অনাহারে থাকিয়া শতবর্ষকাল মহাদেবের আরাধনায় নিযুক্ত রছিলেন। শতবর্ষ পূর্ণ হইলে মহেশ্বর ব্যাসদেবের নিকট যাইয়া বলিলেন “আমার বরে তোমার ক্ষিত্যাদি পঞ্চভূতের ন্যায় তেজোময় ‘পরমজ্ঞানী, কীৰ্ত্তিমান, সত্যবিক্রমশালী এক পুত্র জন্মগ্রহণ করিবে ।" মহাদেবের নিকট হইতে বর প্রাপ্ত হইয়া ব্যাসদেব নিজ আশ্রমে প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং ক্লান্তদেহে অগ্নি উৎপাদন করিবার জন্য অরণী মন্থন করিতে আরম্ভ করিলেন । সেই সময়ে অপর ঘৃতাচী আকাশপথে গমন করিতেছিল। তাহাকে দেখিয়া ব্যাসদেবের ইন্দ্রিয় বিকার উপস্থিত হইল। তিনি নিজের চিত্তচাঞ্চল্য দমন করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন এবং তজ্জন্ত প্রবলবেগে অরণী ঘর্ষণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু কিছুতেই তাহার চিত্ত চাঞ্চল দমন করিতে সমর্থ হইলেন না। তখন সেই অরণীর উপরেই তাহার বীৰ্য্যস্থলন হইল । ব্যাসদেব তখন আরও প্রবলবেগে অরণী মন্থন করিতে লাগিলেন। তখন সেই অরণী হইতেই দ্বিতীয় ব্যাসদেবের ন্যায় সৌম্যমূৰ্ত্তি শুকদেব প্রাচুভূতি হইলেন। ব্যাসদেব • নবজাত শিশুকে দেখিয়া শঙ্করের বর ১৭১৯ প্রভাবেই যে ঐ অযোনিজ পুত্র জন্ম লাভ করিয়াছে, তাহ বুঝিতে পারিয়৷ পরম আনন্দিত “ হইলেন। তখন গঙ্গাদেবী স্বয়ং হিমালয় হইতে আগমন পূৰ্ব্বক শিশুর অভ্যন্তরস্থ নাড়ী সকল প্রক্ষালন করিয়া দিলেন। অনন্তর ব্যাসদেব সেই শিশুর জাতকৰ্ম্মাদি সমাপন করিলে, শুকদেবের জন্ত স্বর্গ হইতে দিব্য দণ্ড, কমণ্ডলু ও কৃষ্ণাজিন পতিত হইল। যথাকালে ব্যাসদেব র্তাহার উপনয়ন সংস্কারাদি সম্পন্ন করিলেন। তদনন্তর শুকদেব বৃহস্পতির নিকট হইতে সমুদয় বেদাদি ধৰ্ম্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করিলেন। অতঃপর ব্যাসদেব পুত্রকে দার পরিগ্রহ করিতে বলিলেন । কিন্তু শুকদেব সংসারের অনিত্যত প্রভৃতি বিষয় সম্যক অবধারণ করিয়া, তদ্বিষয়ে আদেী সংকল্প করিলেন না। ব্যাসদেব র্তাহাকে বিশেষ অনুরোধ করিলেও শুকদেব কিছুতেই স্বীয় সংকল্প হইতে বিচু্যত হইলেন না। পরে তিনি পিতার অনুমতি লইয়া রাজর্ষি জনকের পুরে গমন করেন । তথায় জনকের সহিত নানা সদ্বিষয়ে বহু আলোচনা হয় এবং তথা হইতে পিতৃসকাশে প্রত্যাবর্তন করিয়া, তিনি গাহ স্থাশ্রম অবলম্বন করেন এবং পীবরী নামী এক মুনিকন্যার পাণি গ্রহণ করেন। দেবীভা ১ স্ক-১২, ১৪, ১৯ । মহাভা-শাঞ্জি