পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

%ate হতেই তাহাকে সমর্পণ করা হউক । তখন নরপতি অশ্বপতি ছামৎসেনের সমীপে গমন করিয়া আত্মপরিচয় প্রদান পূর্বক সমুদয় বিষয় তাহাকে নিবেদন করিলেন এবং দ্যুমৎসেন রাজার অমুমতি লইয়া সাবিত্রীকে সত্যবানের হস্তে সমর্পণ করিলেন। বিবাহন্তে সাবিত্রী পতিসহ অরণ্যে শ্বশ্রী প্রভৃতির সহিত . বাসকরিতে লাগিলেন । দেবর্ষি নারদের বাক্য কিন্তু তাহার স্মৃতিপথ হইতে লুপ্ত হয় নাই । তিনি বিবাহের পর হইতে দিন গণনা করিতেন । পরিশেষে তিনি যখন জানিতে পারিলেন যে সত্যবানের জীবনের আর চারিদিন মাত্র অবশিষ্ট আছে, তখন তিনি ত্রিরাত্রব্রত অবলম্বন করিলেন । চতুর্থ দিন প্রভাতে গাত্ৰোখান করিয়া যথাবিধি হোমক্রিয়া সম্পাদন করিলেন এবং সত্যবানের শেষ মুহুৰ্ত্ত প্রতীক্ষা করিয়া অনাহারে অবস্থান করিতে লাগিলেন । ক্রমে বেলা বদ্ধিত হইলে সত্যবান এক পরশু । স্কন্ধে লইয়া কাষ্ঠ ছেদনে গমন করিতে উদ্যত হইলেন। তখন সাবিত্রীও র্তাহার সহিত গমন করিতে বাসন প্রকাশ করিলেন । সত্যবান প্রথমে আপত্তি প্রকাশ করিলেন কিন্তু সাবিত্রী পরে শ্বশ্রী ও শ্বশুরের অনুমতি লইয়া সত্যবানের সহিত গমন করিলেন । অরণ্যে সত্যবান প্রথমে নানাবিধ ফল-মূলাদি s জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক । করিতে আরম্ভ করিলেন । ঐরাপ করিতে করিতে সহসা তিনি অতিশয় শিরঃপীড়া অনুভব করিলেন এবং সাবিত্রীর সমীপে আগমন করিয়া র্তাহার ক্রোড়ে মস্তক স্থাপনপূর্বক ভূতলে শয়ন করিলেন। কিয়ৎকালে সাবিত্রী দেখিতে পাইলেন, রক্তবস্ত্র পয়িহিত, শু্যামবর্ণ, রক্তনয়ন, পাশহস্ত এক ভয়ানক পুরুষ সত্যবানের পাশ্বে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন। সাবিত্রী র্তাহাকে দেখিয়া অতি সতর্কতার সহিত স্বামীর মস্তক ভূতলে স্থাপন করিয়া কৃতাঞ্জলি পুটে তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন। সেই ভয়ঙ্কর পুরুষ ( যম ) নিজ পরিচয় প্রদান করিয়া বলিলেন যে সত্যবানের আয়ু শেষ হওয়াতে তিনি তাহাকে লইয়া যাইতে উপস্থিত হইয়াছেন । তখন সাবিত্ৰী পুনরায় বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন যে সাধারণতঃ কৃতান্তের অনুচরগণই হতায়ু জীবগণকে গ্রহণ করিতে আগমন করিয়া থাকে । কিন্তু তৎপরিবর্তে যম স্বয়ং কেন তথায় উপস্থিত হইয়াছেন ৷ যম উত্তর করিলেন যে সত্যবান পরম ধাৰ্ম্মিক, রূপবান ও গুণবান ছিলেন, তাই তিনি স্বয়ং তাহাকে লইয়া যাইতে আসিয়াছেন । এই কথা বলিয়া কৃতান্ত সত্যবানের দেহ মধ্য হইতে এক পাশবদ্ধ অঙ্গুষ্ঠ মাত্র পুরুষকে বলপূৰ্ব্বক আকর্ষণ আহরণ করি পরিশেৰে কাছ ছেন | করিয়া নিষ্কাশিত করিলেন। প্রাণ