পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-প্রথম খণ্ড.pdf/১০৮০

জীবনী-কোষ-ভারতীয়—পৌরাণিক। [ ) 6 6న নিযুক্ত হন। এই সময়ে হবিষ্যদ, । যঞ্জীয় পশু ইন্দ্র হরণ করিলে, ব্রাহ্মণের মধুৰ্য্যন্দ, দৃঢ়নেত্র ও মহারথ নামে ৷ পরামর্শে তিনি ঋচকের তনয় শুনঃ র্তাহার চারিট পুত্র জন্মগ্রহণ করেন । র্তাহীর তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া লোক পিতামহ ব্ৰহ্মা তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইয়। বলিলেন, “এক্ষণে তুমি রাজর্ষি বলিয়া খ্যাত হইবে।” বিশ্বামিত্র ইহাতে সস্তুষ্ট না হইয়া আরও কঠোর তপস্তায় মনোনিবেশ করিলেন । এই সময়ে ইক্ষাকু বংশীয় নরপতি ত্রিশস্কু র্তাহার শরণাপন্ন হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে ত্রিশস্থ সশরীরে স্বর্গে গমন করিতে অভিলাষী হইয়া বশিষ্ঠের শরণ লইয়াছিলেন । কিন্তু বশিষ্ঠ ও তৎপুত্রেরা তাহাকে প্রত্যাখ্যান করেন । এখন তিনি বিশ্বামিত্রের আশ্রয় লইয়া সেই অভিলাষ পূরণে আকাঙ্ক্ষিত হইলেন। বিশ্বামিত্র তাঁহাকে স্বীয় পুণ্যবলে সশরীরে স্বর্গে প্রেরণ করেন কিন্তু ইন্দ্রাদি দেবগণের আদেশে তিনি অধঃশিরা হইয়া ভূতলের দিকে গমন করিতে থাকেন । বিশ্বামিত্র ইহা দেখিয়া ক্রোধে দ্বিতীয় স্বর্গ স্বজনে প্রয়াসী হন। দেবগণ ইহাতে ভীত হইয়া বিশ্বামিত্রের শরণ লয়েন। পরে নিম্পত্তি হইল যে ত্রিশঙ্কু নক্ষত্রের পুর বৰ্ত্তী হইয়া আকাশেই ভ্রমণ করিতে থাকিবেন, এবং বিশ্বামিত্র আর দ্বিতীয় স্বর্গ স্বজন করিবেন না । রাম আদি-১৮–৫৯ । (৪) রাজা অম্বরীষের > ՀԳ শেফকে যজ্ঞার্থ আনয়ন করেন । পথিমধ্যে বিশ্বামিত্রের সহিত র্তাহাদের সাক্ষাৎ হয়। বিশ্বামিত্র সেই সময়ে শুনঃশেফকে দুইটী গাথা শিখাইয়া দেন। তাহা গুনিয়া ইন্দ্র গুনঃশেফকে দীর্ঘজীবী করেন । রামা আদি-৬১, ৬২ । (৫) অতঃপর বিশ্বামিত্র পুষ্কর তীর্থে যাইয়৷ পুনৰ্ব্বার তপস্যায় নিরত হন । দীর্ঘকাল অতীত হইলে বিশ্বামিত্রের তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া ব্ৰহ্মা তাহাকে "ঋষিপদ বাচ্য হইবে বলিয়া বর প্রদান করেন। কিন্তু তিনি ইহাতেও সস্তুষ্ট না হইয়। আবার তপস্তায় নিযুক্ত হন। এই কালেই মেনকার সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয় এবং মেনকার গর্ভে তাহার । কন্ত শকুন্তলার জন্ম হয়। পরে তপস্তা ভঙ্গ হইল বলিয়া যখন তাহার জ্ঞান হইল তখন আরও কঠোরতর তপস্তায় নিবিষ্ট হইলেন । দেবগণ ইহাতে ভয় পাইয়া রম্ভাকে তাহার নিকট প্রেরণ করেন। তিনি রম্ভাকে পাষাণ হও বলিয়া শাপ দেন । এই প্রকার কঠোর তপস্তায় প্রজাপতিকে সন্তুষ্ট করিয়া । ব্রহ্মর্ষিত্ব লাভ করেন এবং পরে বশিষ্ঠের সহিতও তাহার মৈত্রী স্থাপিত হয়। রামা-আদি-৬৩–৬৫ ; মহাভা-আদি ১৭৫ । শকুন্তলা দেখ । (৬) একদা বিশ্বামিত্র তাড়ক রাক্ষসীর দমন