পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sos ] জমদগ্নি, এই সাত জন সপ্তর্ষি ছিলেন হরি-হরি-৭ । পারিপাত্র নামক পৰ্ব্বতে মহর্ষি গৌতমের আশ্রম ছিল। তিনি সমাগত যমরাজকে কি উপায়ে পিতা মাতার ঋণ হইতে মুক্ত হওয়া যায়, তাহার উপদেশ দিয়াছিলেন । মহাভাশান্তি-১২৯ । (৯)মধ্যদেশে গৌতম নামে এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি দম্য গৃহে অবস্থান নিবন্ধন, দসু্য ভাবাপন্ন হন। পরে তাহার জ্ঞাতিবর্গের উপদেশে সেই স্থান পরিত্যাগপূৰ্ব্বক রাজধৰ্ম্ম নামক এক বিহঙ্গের আলয়ে অতিথি হন এবং মাংস লোভে র্তাহাকেই বধ করেন। পরে সেই বিহঙ্গের বন্ধুগণ কর্তৃক গৌতম নিহত হন। মহাভা-শান্তি২৬৮। (১০) বৃহস্পতির ভ্রাতা উতথ্যের পুত্র দীর্ঘতমা । দীর্ঘতমার পত্নী প্রদ্বেষী গৌতমকে প্রসব করেন। তিনি মাতার প্ররোচনায় স্বীয় পিতা দীর্ঘতমাকে ভেলায় বন্ধনপূর্বক জলে ভাসাইয়া দেন। মহাভা-আদি-১০৪ । (১১) যুগে যুগে অনেক ব্যাস ছিলেন। বরাহ কল্পে গৌতম একজন বেদ বিভাজক, পুরাণ প্রকাশক, জ্ঞান প্রদর্শক শিবাবতার ব্যাস ছিলেন। লি-৭। (১২)গৌতম নামে একজন যোগাচার্য ও ছিলেন। (১৩)বরাহকল্পের চতুর্দশ দ্বাপরে আঙ্গিরস বংশে মহাদেব গৌতম নামে অবতীর্ণ হন। সেই সময়ে গৌতমের পুত্ররূপে অত্রি, দেবসদ, শ্রবণ ও শ্রবিষ্ঠক জন্মগ্রহণ জীবনী-কোৰ—ভারতীয়—পৌরাণিক । করেন। ইহারা পরম যোগী ও সকল প্রকার যোশে পারদর্শী ছিলেন। লি২৪। (১৪) আবার বরাহ কল্পের বিংশতি দ্বাপরে গৌতম নামে আর একজন ব্যাস জন্মগ্রহণ করেন এবং মহাদেব অট্টহাস নামে অবতীর্ণ হন। লি-২৪ । গৌতম মুনির ক্রোধে ইন্দ্রের লিঙ্গ ছিন্ন হইয়া ভূতলে পতিত হইয়াছিল। লি-২৯। (১৫) বৈবস্বত মন্বন্তরের বিংশ দ্বাপরে মহর্ষি গৌতম বেদ বিভাগ করিয়া বেদব্যাস নামে খ্যাত হন। বিষ্ণু-৩য়-৩ ৷ ইক্ষ্মাকু বংশীয় নরপতি নিমি একবার বশিষ্ঠ ঋষিকে উপেক্ষা করিয়া গৌতম মুনির দ্বারা যজ্ঞ করাইয়া ছিলেন। বিষ্ণু-৪র্থ ৫ (১৬)মহর্ষি বৃদ্ধশ্বের দিবোদাস নামে এক পুত্র ও অহল্যা নামী এক কনা জন্মে। অহল্যা গৌতমের পত্নী ছিলেন। তাহার গর্ভে শতানন্দের জন্ম হয় । শতানন্দের পুত্র সত্যধুতি । সত্যধুতির স্ত্রী উৰ্ব্বশীর গর্ভে কৃপ নামে পুত্র ও কৃপী নামী কন্যা জন্মে। বিষ্ণু-৪র্থ ১৯ । (১৭)দওক অরণ্যে গৌতম নামে এক ঋষি তপস্তা করিতেন। তাহার তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া ব্ৰহ্মা তাহাকে বর দেন যে তাহার আশ্রমসংলগ্ন স্থানে প্রচুর ধান্য জন্মিবে। এই বর লাভের পর তিনি শতশৃঙ্গ পৰ্ব্বতে যাইয়া আশ্রম নিৰ্ম্মাণ করেন । তথায় প্রতিদিন প্রাতঃকালে ধান্য পরিপক্ক হইয়া উঠিলে ছেদন ও মধ্যাহ্নে অগ্নিতে পরিপক্ক করিয়া অভ্যাগত