পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনীকোৰ—ভারতীয়—পৌরাণিক । অভিষেক করেন । চন্দ্র রাজসূয় যজ্ঞ করিয়াছিলেন। পরে সেই রাজস্বয় যজ্ঞ প্রভাবে এবং সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট আধিপত্যের অধিষ্ঠাতৃত্ব নিবন্ধন তাহার অহঙ্কার উপস্থিত হয়। সেই মদদোষ প্রযুক্ত তিনি দেবগুরু বৃহস্পতির পত্নী তারাকে হরণ করেন। অনন্তর • বৃহস্পতির প্রার্থনায় ব্রহ্ম চন্দ্রকে বার বার অনুরোধ করিলেও এবং সকল দেবধিগণ বার বার যাঞ্জ করিলেও চন্দ্র তারাকে প্রত্যপন করিলেন না । বৃহস্পতির প্রতি দ্বেষনিবন্ধন শুক্র চন্দ্রের সহায় হইলেন। ভগবান রুদ্র মহর্ষি বৃহস্পতির পিতা আঙ্গিরার নিকট বিদ্যালাভ করিয়া শিষ্য হইয়াছিলেন । তন্নিবন্ধন তিনি বৃহস্পতির সহায় হইলেন। শুক্র চন্দ্রের পক্ষে ছিলেন বলিয়া, জন্ত ও কুজপ্ত প্রভৃতি দানবগণ র্তাহার সাহায্যার্থ মহান উদ্যোগ করিলেন। এদিকে সমুদয় দেব সৈন্ত সহায় ইন্দ্র, বৃহস্পতির সাহানা করিতে লাগিলেন । তখন উভয় পক্ষে আতি ভয়ঙ্কর সংগ্রাম আরম্ভ হইল। তারার নিমিত্ত সংগ্রাম হইয়াছিল বলিয়া ইহার *তারকাময় ংগ্রাম” নাম হইল। এই প্রকারে দেবামুর সংগ্রামে ক্ষুব্ধ হদয় অশেষ জগৎ ব্রহ্মার শরণাপন্ন হুইল। তখন ভগবান ব্রহ্মা, শুক্র, শঙ্কর, অসুর ও দেবগণকে নিবারণ করা বৃহস্পতিকে তার প্রত্যপন করেন। তখন বৃহস্পতি (t@

  • 3.

৪৩৩ তারাকে গর্ভবতী দেখিয়া কহিলেন, আমার ক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তির ঔরস জাত সন্তান তোমার ধারণ করা উচিত নহে। তুমি ইহা পরিত্যাগ কর। তার বৃহস্পতির বাক্যে সেই গর্ভ ঈষিক স্তম্ভে পরিত্যাগ করিলেন। নিক্ষেপ মাত্র সমুৎপন্ন সেই পুত্র স্বীয় কান্তি দ্বার দেবগণেরও তেজ অভিভব করিয়া বিরাজ করিতে লাগিলেন। তখন দেবগণ সন্দিহান ভাবে তারাকে জিজ্ঞাসা করিলেন—হে মুভগে, তুমি সত্য করিয়া বল, এই পুত্র কাহার ?— চন্দ্রের অথবা বৃহস্পতির। দেবগণ এই কথা বলিলে তারা লজ্জায় কিছু বলিতে পারিলেন না । বার বার জিজ্ঞাসিত হইয়াও তারা নিরুত্তর রহিলেন । তখন সেই কুমার তাহার মাতা তারাকে শাপ প্রদান করিতে উদ্যত হইয়া কহিলেন—অয়ি ! দুষ্ট স্বভাবে জননি । কেন আমার পিতার নাম করিতেছ না ? অলীক লজ্জাবতি ! তোমার শাস্তি আমি এই প্রকারে দিতেছি যে, আর কেহই তোমার ন্যায় মন্থরভাষিণী হইতে পারিবে না । * তখন ব্রহ্ম র্তাহাকে নিবারণ করিয়া তারাকে, কহিলেন—বৎসে ! এই পুত্র কাহার— চন্দ্রের অথবা বৃহস্পতির ? তখন তারা লজ্জা জড়িত ভাবে কহিলেন—চন্দ্রের। তখন ভগবান চন্দ্র সেই কুমারকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন—হে বৎস!