পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৯১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v88 ] বক্রাঙ্গ জন্মগ্রহণ করেন। ঐ ভয়াবহ মহাকায় পুত্র জাতমাত্রে ধরণী কম্পিত, দেবগণ ত্রস্ত, সমুদ্র ক্ষোভিত ও পৰ্ব্বত সমূহ চালিত হইল। দেবগণ ও ঋধিগণকে এইরূপে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখিয়া শিব তাহাকে আহবান করিয়া দেবর্ষি গণের উপর অত্যাচার করিতে নিষেধ করিয়া দেন। এই বক্রাঙ্গ শিবের অঙ্গ হইতে রজোগুণ প্রভাবে জন্মগ্রহণ করেন বলিয়া অঙ্গারক নামেও প্রসিদ্ধ জীবনীকোষ—ভারতীয়—পৌরাণিক | ত্রিপুর, ভৈরবী, রম, বগলা, মাতঙ্গী, খ্রিপুরসুন্দরী, কামাক্ষী, জস্তিনী, মোহিনী, ছিন্নমস্তা, গুহাকালী প্রভৃতি মহাশক্তিগণ আবির্ভূত হন। দেবীভা৭ঙ্ক-২৮। (১) মহাকালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, বগলা, ছিন্নমস্ত, ত্রিপুরসুন্দরী, ধূমাবতী এবং মাতঙ্গ, ইহারা দশমহাবিদ্যা নামে খ্যাত । ইহাদিগের প্রতি পরম ভক্তি করিলে অবিলম্বে মোক্ষলাভ হয় । শ্ৰীমহা-১৮ । হন। স্কন্দ-আব-চতু-৪৩ ৷ বক্রমালী— জনৈক রাক্ষসসেনাপতি । লঙ্কা সমরে নিহত হন । রামা-লঙ্কা-৯০ । বগলামুখী— দশমহাবিদ্যার অন্যতমা । শ্ৰীমহা-১৮ ; বৃহদ্ধ-মধ্য-৬ । বগলী দেপ । বঙ্গ—বলিরাজের পত্নী সুদেষ্ণ, দীর্ঘতম বক্ষোগ্রীব—মহর্ষি বিশ্বামিত্রের অন্যতম পুত্র। তিনি বিপ্ৰকুল পরিবদ্ধক, তপস্বী, বেদবেদাঙ্গপারগ ও গোত্রপ্ৰবৰ্ত্তক ঋষি ছিলেন । মহাভা-অনুশা-৪ । বগল—(১) একবার রুর নামক অমুরের পুত্র দুর্গম ব্ৰহ্মাকে সন্তুষ্ট করিয়া সমুদয় দেবতাগণকে পরাজিত করিবার ক্ষমতা লাভ করেন। তখন দুর্গম দৈত্য নানারূপে দেবগণের উপর অত্যাচার করিতে আরম্ভ করেন । দেবগণ নানারূপে উৎপীড়িত হইয়া ভগবতী শিবানীর আরাধনায় প্রবৃত্ত হন। র্তাহাদের স্তুতিবাদে সন্তুষ্ট হইয়া মাহেশ্বরী নানা উপায়ে দেব-ব্রাহ্মণগণের বিপদ নিবারণ করেন। তৎপরে দুর্গম দৈত্যের সহিত র্তাহার যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধকালে দেবীর শরীর হইতে, কালী, তারা, ষোড়শী, ঋষি হইতে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুহ্ম (সুহ্মক ; অ ২৭৭) ও পুণ্ড, নামে পাচ পুত্র প্রসব করেন । র্তাহারা সকলেই স্বীয় স্বীয় মামীয় ও দেশের অধিপতি ছিলেন । হরি-হরি-৩১ ; বিষ্ণু-৪র্থ ১৮ ; মহাভা-সভা-৪ ; ভাগ-৯ঙ্গ-২৩ । দীর্ঘতম ও কলিঙ্গ দেখ । বঙ্গদ—বৈদিক যুগে ঋজিম্বান নামে এক রাজর্ষি ছিলেন । বঙ্গদ নামে এক অনাৰ্য্য দস্থপতি ঋজিস্বানকে আক্রমণ করিলে ইন্দ্র ঋজিম্বানকে সাহায্য করিবার জন্য তথায় উপস্থিত হইলেন এবং বঙ্গদের শত শত নগর ধ্বংস করিয়া পরিশেষে তাহাকে বধ করেন । ঋক ১৫৩৮ । বজ্ৰ –(১) শ্রীকৃষ্ণের পুত্র প্রত্যুম্ন, প্রত্যুমের তনয় অনিরুদ্ধ, অনিরুদ্ধের পুত্র বজ্র ও