পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষী [ २९२ ] লক্ষী বাই লক্ষী—বিষ্ণুরপত্নী। সৌভাগ্যের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে ক্রট অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলিয়া ইনি বিদিত। করেন নাই। রেসিডেন্টের সহিত মহর্ষি ভৃগুর ঔরসে এবং খ্যাতির গর্ভে ইহঁার জন্ম হয়। ইন্দ্রের প্রতি দুৰ্ব্বাসার অভিশাপে ত্ৰৈলোক্য শ্ৰীহীন হইলে, ইনি সাগরতলগত হন। পরে দেবদৈত্যের সমুদ্র মন্থনকালে ইনিউখিত হন। (মহ) লক্ষী বাই—বঁাসির রাণী। ইনি বঁাসির শেষ হিন্দু রাজা গঙ্গাধর স্নাওর মহিষী ছিলেন । গঙ্গাধর রাও অল্প বয়সে রোগাক্রান্ত হইয়া, ১৫৫৩ খৃষ্টাব্দে মানবলীলা সম্বরণ করেন । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি একটা দত্তক পুত্র গ্রহণ পূৰ্ব্বক কোম্পানির রেসিডেণ্টকে অনুরোধ করেন যে, তাহার মৃত্যুর পর সেই বালককে যেন রাজসিংহাসন প্রদান করিয়া, তাহার পত্নী লক্ষী বাইকে রাজ্যের কর্তৃত্বভার মর্পণ করা হয়। " লক্ষীবাই বিধবা হইয়া স্বামীর নিদেশ অনুসারে সহগমন না করিয়া, দত্তকপুত্রের রক্ষক স্বরূপ রাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হইলেন । কিন্তু অধিক দিন ইহঁাকে রাজ-দও পরিচালিত করিতে হয় নাই। কোম্পানির গভর্ণমেণ্ট দত্তক পুত্র অগ্রাহ্য করিয়া, বাসি অধিকারভুক্ত করিতে উদ্যত হইলেন। ইনি তজ্জন্ত অতীব দুঃখিত হইয়া তাহার প্রতিকারের রাজ্য সম্বন্ধে কথোপকথনে, ইনি একদা সতেজগৰ্ব্ব বাক্যে বলিয়াছিলেন “মেরি বাসি দেঙ্গে নেই”। লক্ষী বাইয়ের সকল চেষ্টা বিফল হইল। বাসি কোম্পানির অধিকার ভুক্ত হইল। এ অন্যায্য ব্যবহারে অতীব দুঃখিত হইয়া, ইনি সস্তপ্ত হৃদয়ে কাল যাপন করিতে লাগিলেন । কোম্পানির , প্রতি ইহার বন্ধুত্বভাব তিরোহিত হইয়া, তৎপরিবর্তে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভাবের উদ্রেক হইল। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দে সিপাই বিদ্রোহের সময়, লক্ষীবাই কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র · ধারণ করিলেন । সেনা পরিচালনের ভার অন্যের উপর ন্যস্ত না করিয়া, বীর মহিলা স্বয়ং যোদ্ধ বেশ ধারণ পূর্বক অশ্বপৃষ্ঠে শোভা পাইলেন। . অতুল বিক্রমে হিন্দু রমণী ব্রিটিশ সিংহের সহিত যুদ্ধ করিয়া, সৈন্ত পরিচালনে অসাধারণ নিপুণতা প্রদর্শন করিয়া বিপক্ষের সেনাপতিকে চমৎকৃত করিলেন। কয়েক মাস উভয় . পক্ষে তুমুল সংগ্রাম চলিতে লাগিল। কল্পি নগরে ইহার সেনানিবাস ছিল, উহা কোম্পানির হস্তগত হইলে, / ইনি ভগ্নমনোরথ হইলেন না। “যাবৎ জীবন তাবৎ আশা" এই