পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গ [ ७8 ] পূত সলিলস্পর্শে ভস্মীভূত সগরবংশের উদ্ধার হয় । একদা গঙ্গা ব্ৰহ্মার নিকট হইতে প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, এমন সময় অভিশপ্ত বমুদিগের সহিত সাক্ষাৎ হয়। র্তাহাদের আমুনয়ে ইনি মানবীরূপে র্তাহাদিগকে গর্ভে ধারণ করিয়া শাপ মুক্ত করিবার জন্ত স্বীকৃত হন। অতঃপর মানবীবেশে শান্তনুরাজের পত্নী হইয়া তাহাকে প্রতিজ্ঞা পাশে বদ্ধ করেন যে ইহার ইচ্ছানুরূপ কার্ষ্যে তিনি ব্যাঘাত দিতে পারিবেন না । শাস্তমুর ঔরসে ইহঁার আটট পুত্র হয় । পুত্র জন্মিবামাত্র ইনি তাহা জলে নিক্ষেপ করেন । এইরূপে সাতটী পুত্র জলে নিমজ্জিত হয়। অষ্টম পুত্র জন্মিবামাত্র, শান্তনু ইহার কার্য্যে ব্যাঘাত দিয়া তাহ রক্ষা করিতে বলেন । পুত্র রক্ষা হইল, কিন্তু ইনি পূর্বের পণ অনুসারে আর শান্তমুর ভার্য্যা রহিলেন না। অতঃপর পুত্র দেবব্রতকে (ভীষ্ম ) লইয়া অস্তৰ্হিত হইলেন। পরে দেবব্রত শিক্ষিত ও বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, গঙ্গা তাহাকে শাস্তমুর নিকট প্রদান পূৰ্ব্বক স্বস্থানে গমন করিলেন। ( রামা, মহা ) গণেশ—মহাদেব ও পাৰ্ব্বতীর জ্যেষ্ঠ পুত্র । কথিত আছে যে শনির গণেশ দর্শনে ইহঁার মস্তক ছিন্ন হয়। তখন বিষ্ণু একটী হস্তিমুণ্ড আনয়ন পূর্বক ইহঁার স্কন্ধে যোজনা করিয়া দিলেন। ইনি গণের অধীশ্বর এবং সৰ্ব্ব কার্য্যে সিদ্ধিদাতা । ইহার বাহন মুষিক । দার পরিগ্রহে অনিচ্ছুক হইয়া গণেশ তপশ্চরণ পূৰ্ব্বক জীবন অতিবাহিত করিতে লাগিলেন । একদা ইহার দর্শনে তুলসী দেবী ইহাকে পতিভাবে পাইতে অভিলাষ করিলেন। তৎপর ইহার তপোভঙ্গ করিয়া মনোবাঞ্ছা ব্যক্ত করেন। গণেশ বিবাহে অসন্মতি প্রকাশ পূৰ্ব্বক তুলসীর চঞ্চলত দেখিয়া অভিসম্পাত করেন যে তিনি অসুরের পত্নী হইবেন । তিনি ইহঁাকে পরিণয় পাশে বদ্ধ হইতে শাপ দেন। অতঃপর ইনি পুষ্টি নামী কন্যাকে বিবাহ করেন। একদা গণেশ কৈলাসে অবস্থান করিতে ছিলেন, এমন সময় পরশুরাম মহাদেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে উপস্থিত হইলেন । ইনি দেবাদিদেবের আদেশ অপেক্ষা করিয়া পরশুরামকে অবস্থান করিতে বলিলেন। তিনি তাহা অবহেলা করিয়া পুর প্রবেশ করিতে উদ্যত হইলে, দুইজনে বিবাদ উপস্থিত হইল। তখন পরশুরাম কুঠারাঘাতে গণেশের একটা দস্ত ছেদন করেন।