পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্য ইহঁাদের সহিত যোগ দিলেন । ভক্তবৈষ্ণব সকল এক জাতীয় ; তাহাদের মধ্যে জাতি বিচার নাই । মুচী হয়ে শুচি হয়, যদি হরি ভজে ; { শুচি হয়ে মুচী হয়, যদি হরি ত্যজে। অতঃপর চৈতন্য কেবল ভক্তবৃন্দ মাঝে হরিনামরসে মগ্ন হইয়া রহিলেন । সাধন ভজনা ভিন্ন ইহার আর অপর কার্য্য ছিল না । সংসারে থাকিয়াও ইনি কেবল ধৰ্ম্মজগতে বিচরণ করিতে লাগি লেন । কিন্তু ইহাতেও চৈতন্তের | মনের আশা মিটিল না । সৰ্ব্বত্যাগী হইয়া ধৰ্ম্মার্থ জীবন উৎসর্গ করিতে ইচ্ছুক হইলেন। এই ইচ্ছা গোপন রাখিলেন। কিন্তু ইহার বেগ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। অবশেষে ইহার বেগ এত প্রবল হইল যে ইহা সংসারের বন্ধন, আত্মীয় স্বজনের প্রতি মায়া ছিন্ন করিল। একদা রজনী যোগে বৃদ্ধ মাত, যুবতী স্ত্রী, প্রিয়তম সহচরবর্গ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক চৈতন্য পচিশ বৎসর বয়সে গৃহ ত্যাগ করিলেন । তৎপরে কাটোয়ায় উপস্থিত হইয়া দওঁী কেশবভারতীর নিকট সন্ন্যাস ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলেন। সন্ন্যাসী হইয়া চৈতন্য শান্তিপুরে ভক্ত অদ্বৈতের গৃহে গমন করিলে, সেখানে শচীদেবী এবং ভক্তবৃন্দ ইছার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । [ ध्र-२ ] চৈতন্য অতঃপর সকলকে বিদায় দিয়া ইনি নীলাচলে গমন করিলেন। সঙ্গে নিত্যানন্দ, মকুন্দরামপ্রভৃতি কয়েকজন ধৰ্ম্মবন্ধু গমন করিলেন , পুরীর নিকটবৰ্ত্তী হইলে,বিগ্রহমুক্তি দর্শন করিবার জন্ত ইহঁার এত আগ্রহ হইল যে উন্মত্তের ন্যায় ইনি ছুটলেন। মন্দিরে পৌছিয়া বিগ্ৰহ মূৰ্ত্তি দেখিয়া অনুরাগের আবেশে ইনি তাহা কোলে করিতে ধাবিত হইলেন, এবং কয়েক পদ গমন করিয়া ভাবাবেশে মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন । তৎপরে সঙ্গীগণ আসিয়া হরিনামের ধবনিতে ইহার চেতনা সম্পাদন করিলেন। নীলাচলে অবস্থানের সময় পুরীর রাজসভাপণ্ডিত সাৰ্ব্বভেীমের সহিত ইহার হৃদ্যতা হয় । তিনি একজন তত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন পণ্ডিত ছিলেন । র্তাহার বিশ্বাস ছিল যে চৈতন্ত তত কিছু জানেন বা বুঝেন না। তিনি ইহঁাকে ভাগবত শুনাইবেন, এবং আত্মা-রামাশ্চ মুনয়ে। নিগ্রাহ্য অপুরুিক্রমে, কুৰ্ব্বন্ত্যহৈতুকীঃ ভক্তিং মিথংভূতগুণে হরিঃ শ্লোকের নয় রকম ব্যাখ্যা করেন । পরে চৈতন্ত ভক্তি-রসাত্মক সেই শ্লোকের আঠার প্রকার ব্যাখ্যা করিয়া শুনাইলেন । তখন সাৰ্ব্বভেীম পরাজয় স্বীকার করিয়া ইহঁার মতের অন্তরর্তী হইলেন অতঃপর চৈতন্ত নীলাচলেই তুম্বার।