পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়চাঁদ [ তিরোরির যুদ্ধে পরাস্ত হইলে ইনি তাশ হইলেন। ঘোরি পুনরায় প্রত্যাগমন করিয়া থানেশ্বরের যুদ্ধে পৃথ্বীরাজকে পরাস্ত ও হত করিয়া দিল্লী ও আজমির অধিকার করেন । শত্রুর বিনাশে জয়চাদ অতীব আনন্দিত হইলেন । অতঃপর কনোজ রাজ্যের প্রার্থী হইয়া মহম্মদ ঘোরি জয়চাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন। স্বদেশীর বিরুদ্ধে বিদেশীকে আনয়ন করার বিষময় ফল তখন জয়চাঁদ বুঝিতে পারিলেন। পরম শক্ৰ হইলেও পৃথ্বীরাজ কখন ইহার উচ্ছেদের জন্য চেষ্টা করিতেন না। কিন্তু তখন আর উপায়ান্তর ছিল মা। রাজ্যরক্ষার্থ ইনি সাধ্যানুসারে যুদ্ধ করাই শ্রেয়ঃ বিবেচনা করিলেন। ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে যবন সেনা কনোজ অবরোধ করিলে,ইনি তুমুল সংগ্ৰাম করিলেন । সমরে পরাস্ত হইয়া জয়চাদ গঙ্গার পরপারে পলাইয়া যাইতে চেষ্টা করিয়া জলমগ্ন হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। স্বদেশদ্রোহীর পাপে কনোজ মানবহীন মরুভূমিতে পরিণত হইয়া অদ্যাপি সেই ভাবে অবস্থান করিতেছে। (ইতিহাস) জয়দেব—বঙ্গের বিখ্যাত সংস্কৃত কবি । ইহঁার প্রণীত গীতগোবিন্ধের ন্যায় সুললিত মধুর গীত ৯০ ] জয়দেব কাব্য সংস্কৃত ভায়ায় আর নাই । ইনি অনুমান খৃষ্টাব্দের পঞ্চদশ শতাব্দীতে বৰ্ত্তমান ছিলেন। বীরভূম জেলার অন্তর্গত কেন্দুবিশ্ব গ্রামে ভোজদেবের ঔরসে এবং বামাদেবীর গর্ভে ব্রাহ্মণকুলে জয়দেবের জন্ম হয় । কথিত আছে যে অতি অল্প বয়সে ইনি গৃহত্যাগ করিয়া উদাসীন হন। পরে পদ্মাবতী নামী একটী কন্যার সহিত ইহার কিম্বদন্তী আছে যে পদ্মাবতীর পিতা জগন্নাথদেবের আদেশে উদাসীন জয়দেবের নিকট স্বীয় কন্যা উপস্থিত করিয়া ভাৰ্য্যার্থ গ্রহণ করিতে অনুরোধ করেন। জয়দেব দারপরিগ্রহ করিতে অসন্মত হইলে, পদ্মাবতীর পিতা কন্যাকে ইহার নিকট রাখিয়া প্রস্থান করেন। ইনি পদ্মাবতীকে যথাইচ্ছ। যাইতে বলিলে তিনি বিনীত বচনে বলিলেন— পিতা সমপিলা, আর জগন্নাথ আজ্ঞ।-- s তুমি যে আমার স্বামী, এমোর প্রতিজ্ঞ। তুমি যদি কর ত্যাগ আমি ন ছাড়িব, কায়মনোবাক্যে তৰ চরণ সেবিৰ । অনন্তর জয়দেব তাহাকে বিবাহ করিলেন। বিবাহের পর গৃহী হইয়া কবিবর গীতগোবিন্দ প্রণয়ন করেন । কথিত আছে যে জয়দেব নিজ প্রতিষ্ঠিত এক বিগ্রহের জন্য অর্থ সংগ্ৰহাৰ্থ দেশে দেশে ভ্রমণ করেন। একদা পথে দক্ষ্যগণ ইহঁার সর্বশ্ব