পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাক্যসিংহের মাতামহকুলের ইতিহাস। শাক্যসিংহের মাতামহকুলের ইতিহাস নিতান্ত অদ্ভূত। রাজা শুদ্ধোদন যে কুলে বিবাহ করিয়াছিলেন, সে কুল বা সে বংশ শাক্য হইলেও র্তাহার পাণিগৃহীতী ভাৰ্য্যা কোলীয়বংশের দৌহিত্রী ছিলেন। এই কোলীয়কুল বা কোলীয়বংশ শাক্যবংশের কন্যা হইতে উৎপন্ন হইয়াছিল। কোন এক পরিত্যক্ত শাক্যকন্যার গর্ভে কোল নামক জনৈক ঋষির ঔরসে এই বংশের মূলপুরুষ উৎপন্ন হইয়াছিল। কোলীয়ুবংশের উৎপত্তির ইতিবৃত্ত এইরূপ ;- “সুজাত রাজপুত্রেরা ও তৎসহাগত অন্যান্য ক্ষত্ৰিয়েরা শাক্য-আখ্যা প্ৰাপ্ত হইলে ক্ৰমে তাহদের বংশ-বিস্তার হয়। কিরকুণ্ডক শাক্যের রাজত্বকালে কোন এক শাক্য-কন্যার গলদকুণ্ঠব্যাধি হইয়াছিল ; বৈদ্যেরা অনেক চেষ্টা করিয়াও কিছুতেই তাহার ব্যাধির উপশম করিতে পারেন নাই। কন্যাটার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সমস্তই এক-ব্ৰণ হইয়া যায় ; কোন স্থান অক্ষত ছিল না। হতভাগিনী কন্যা গলদকুণ্ঠরোগগ্ৰস্ত হইয়া প্ৰত্যেক লোকের ঘূণাৰ্ছ হন। তঁহার ভ্রাতৃগণ র্তাহাকে পৰ্ব্বতে পরিত্যাগ করা বিধেয় বোধ করেন। অনন্তর তাহার ভ্রাতৃগণ র্তাহাকে এক শকটে আরোহণ করাইয়া হিমালয়-সমীপে লইয়া যান। তঁহারা হিমালয় পৰ্ব্বতের একটী গুহা-মধ্যে র্তাহাকে প্রবেশ করাইয়া, তন্মধ্যে প্রভূত বহুতর ভক্ষ্য, প্রচুর পানীয়, কতকগুলি কম্বল ও অন্যবিধ শয্যা প্ৰদান করিয়া গুহার মুখ কাষ্ঠরাশির দ্বারা প্রচ্ছন্ন করতঃ বালুকারাশির দ্বারা তাহার ছিদ্রভাগ বন্ধ করিয়া দিয়া কপিলবস্তু নগরে ফিরিয়া আসেন। মৃতকল্পা শাক্য-দুহিত কয়েক দিবস সেই গুহামধ্যে বাস করিয়া, বায়ুহীন