পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুলসীদাস। >也@ “সৌভাগ্যশালিনী হইয়া পতিসহ সুখে কালব্যাপন কর,” এই আশীৰ্ব্বাদ করেন । সহমৃতগমনােন্ততা রমণীর সঙ্গিগণ, তুলসীদাসের এবম্বিধ আশীর্বাদ শুনিয়া তঁহাকে বলেন, “ঠাকুরজি ! এই মাত্র ইহার স্বামীকে দাহ করিবার জন্য গঙ্গাতীরে আনা হইয়াছে, সুতরাং ইনি কিরূপে পতিসহ সুখে কালব্যাপন করিবেন ?” এই কথা শুনিয়া তুলসীদাস কিছু বিস্মিত হন এবং তাহাদিগের সহিত শ্মশানভূমিতে গমন করেন। তিনি ঐ স্থানে যাইয়া দেখেন যে, ঐ রমণীর পতি একখণ্ড বস্ত্ৰাচ্ছাদিত হইয়া মৃত্তিকা-শয্যায় -শায়িত রহিয়াছে। তুলসীদাস আর কালবিলম্ব না করিয়া ঐ আচ্ছাদনবস্ত্ৰখানি খুলিয়া ফেলেন এবং ঐ শবের গাত্রে হস্ত বুলাইয়া দিয়া তাঁহাকে পুনজীবিত করেন। মৃতব্যক্তি সুপ্তোখিতের ন্যায় উঠিয়া বসিলে, তন্ত্রত্য সকলেই বিস্ময় সাগরে মগ্ন হইয়া যায় ও তাহার পদে লুটাইয়া পড়ে। তুলসীদাসের অলৌকিক ঘটনাসকল শ্রবণ করিয়া দিল্লীর বাদশাহ তাহাকে দিল্লীতে লইয়া যান, এবং তঁহাকে কিছু অদ্ভুত কৌশল দেখাইতে বলেন। বাদশাহের কথায় তুলসীদাস বলিয়াছিলেন, “জাহাপনা ! আমি অতি সামান্য মনুষ্য, আমি আপনাকে কি অলৌকিক ঘটনা দেখাইব ? আমি কেবল ইষ্টদেবের নামগান করিয়া থাকি, অলৌকিক কিছু দেখাইবার ক্ষমতা আমার নাই।” তুলসী তাহাকে অপমান করিল ভাবিয়া, বাদশাহ হঁহাকে কারারুদ্ধ করেন । কয়েক দিবস অবরুদ্ধ থাকিবার পর প্রধান বেগমের অনুরোধে তুলসীদাস কারাগার হইতে নিস্কৃতি লাভ করেন। এরূপ জনশ্রুতি আছে যে, ঐ সময়ে অসংখ্য হনুমান এবং বানর দিল্পীনগরে আগমন করিয়া বিষম উৎপাত আরম্ভ করিয়াছিল। বানারগণ বাদশাহের অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া যখন অত্যন্ত ক্ষতি করিতে আরম্ভ কয়ে, সেই সময় বাদশাহের সভাসদগণ র্তাহাকে বলিয়াছিলেন, “জাহাপান । ইহা তুলসীদাসের কৌশল ; তঁহাকে কারামুক্ত না করিলে, এই উৎপাতের