পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেবের জন্ম। শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই নেপাল রাজ্যের নাম শুনিয়া থাকিবেন। নেপাল রাজ্যের উত্তর সীমা হিমালয় পৰ্ব্বত, পূৰ্ব্ব সীমা সিকিম প্রদেশ, দক্ষিণ সীমা বঙ্গ, বেহার ও অযোধ্যাপ্রদেশ, এবং পশ্চিম সীমা দিল্লী ও কিউমাউন দেশ। এই চতুঃসীমাবিশিষ্ট নেপাল রাজ্যের মধ্যে কপিলবস্তু নামে এক নগর ছিল। ঐ নগর শাক্যবংশসস্তৃত রাজা শুদ্ধোদনের রাজধানী। কপিলবস্তুর বর্তমান নাম কোহান । মহারাজ শুদ্ধোদনের পাঁচ মহিষী, তন্মধ্যে মায়াদেবীই সর্বপ্ৰধান। মায়াদেবী রূপে ও গুণে অতুলনীয়া ছিলেন। মহারাজ তাহার অলৌকিক রূপলাবণ্যে এরূপ মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, কখনও তঁহাকে নয়নের অন্তরাল করিতে পারিতেন না। যখনই তঁহার সরল কমনীয় অনিন্দ্যসুন্দর মুখখানি দেখিতেন, যখনই তঁহার ঈষৎ ব্ৰীড়াবিনত বিশাল নয়নের বঙ্কিম কটাক্ষ লক্ষ্য করিতেন, যখনই তাহার লজ্জারাগরঞ্জিত সলজ্জােবদনে বীণাবিনিন্দিত মধুর কণ্ঠস্বর শুনিতেন, তখনই তিনি সংসারের সকল চিন্তা ভুলিয়া যাইতেন। শুধু যে তিনি র্তাহার সৌন্দৰ্য দেখিয়াই বিমোহিত হইতেন, তাহা নহে; তাহার কৰ্ত্তব্যপ্রিয়তা, আত্মংযম, ধৰ্ম্মনিষ্ঠ প্ৰভৃতি সৎগুণ দেখিয়া স্বর্গোপম সুখানুভব করিতেন। যদিও মহারাজ শুদ্ধোদন তাহার অশেষসদগুণালঙ্কত সৰ্ব্বসৌন্দৰ্যশালিনী মহিষীর রূপে গুণে মুগ্ধ হইয়া থাকিতেন, কিন্তু তঁহার হৃদয়ে এক দুৰ্দ্ধমনীয় আকাঙ্ক্ষা ঘুরিয়া বেড়াইত; সেইজন্য তিনি সুখী হইয়াও সময়ে সময়ে গভীর দুঃখে ম্রিয়মাণ থাকিতেন। সতীসাধৰী স্ত্রীরা কখনও, এমন কি একদণ্ডও, স্বামীর দুঃখভাব দেখিতে পারেন না, কখনও স্বামীর