সাধক কমলাকান্ত । R কমলাকান্তের জীবদ্দশাতেই তাহার স্ত্রী ইহলোক পরিত্যাগ করেন। জীবমাত্রেরই জীবনের সহিত ইহজগতের সম্বন্ধ। কমলাকান্ত স্ত্রীকে চিন্তা-শয্যায় শয়ন করাইয়া অগ্নিপ্ৰদান সময়ে নিম্নলিখিত পদটি রচনা করিয়া গাইয়াছিলেন :- কালি! সব ঘুচালি লেঠা।। শ্ৰীনাথের লিখন আছে যেমন, রাখিবি কিনা রাখবি সেটা ৷ তোমার যারে কৃপা হয় তার, সৃষ্টি ছাড়া রূপের ছটা । তার কাটিতে কৌপিন যোড়ে না, গায়ে ছাই আর মাথায় জটা ॥ শ্মশান পেলে সুখে ভাস, তুচ্ছ বাস মণি কোঠা । আপনি যেমন ঠাকুর তেমন, ঘুচুলনা তার সিদ্ধি ঘোটা ॥ দুঃখে রাখি সুখে রাখি, করবো কি আর দিয়ে খোটা । আমি দাগ দিয়ে পরেছি। আর, পুছিতে কি পারি সাধের ফোট ॥ জগৎ জুড়ে নাম দিয়াছ, কমলাকান্ত কালীর বেটা। এখন মায়ে পোয়ে কেমন ব্যাভার, ইহার মৰ্ম্ম জানবে কেটা । সঙ্গীতের মত মোহিনী শক্তি আর কিছুতেই নাই। গানের শব্দে সাপ ফণা তুলিয়া কি শুনে-শিশু কঁাদিতে কঁাদিতে থামে-বন্য পশু বিমোহিত হয়-গভীর শোক শুকাইয়া যায়। কমলাকান্ত স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপন করিয়া সহাস্য বদনে বাটী ফিরিয়াছিলেন। একদিন কমলাকান্ত নিজের বাস ভবন হইতে স্থানান্তরে যাইবার সময় পথে রাত্রি হওয়ায়, “ওড়গায়ের ডাঙ্গা” নামক মাঠে দস্যগণ কর্তৃক আক্রান্ত হন। যমের হাত হইতে বরং পরিত্রাণ পাওয়া যাইতে পারে, তথাপি সেকালে দাসু্যর হাতে কোন মতে নিস্তার ছিল না । কমলাকান্ত মৃত্যুকে সম্মুখে উপস্থিত দেখিয়া মহানন্৮ে নিম্নলিখিত পদটা রচনা করিয়া গাইয়াছিলেন;- औ-७१
পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4e/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%80_%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9_-_%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.pdf/page303-1024px-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%80_%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9_-_%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.pdf.jpg)