পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । 9 হইলে সিদ্ধাৰ্থ আপনার শয্যা পরিত্যাগ করিয়া নিঃশব্দপদসঞ্চারে পত্নীর নিকটে গমন করেন। তিনি যাইয়া দেখেন, দুগ্ধফেননিভ শয্যায় গোপা গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত ; বামপাশ্বে নবকুমার রাহুল নিদ্রিত। সিদ্ধার্থ কিয়ৎক্ষণ অনিমেষলোচনে নবকুমারের স্বৰ্গীয় মাধুৰীপূৰ্ণ বদন নিরীক্ষণ করিয়া বলিয়াছিলেন, “এই শিশু যাহার অলৌকিক মাধুৰ্য্যের অঙ্কুট প্ৰতিবিম্বমাত্র, না জানি তিনি কতই মনোহর ।” ঐরাপ গোপার বিষয়ও কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করেন, তৎপরে একবার পিতামাতার চরণোদেশে প্ৰণাম করিয়া, মনে মনে তাহদের নিকট বিদায় গ্ৰহণ পূর্বক, ছন্দক ব্যতীত অন্য সকলের অজ্ঞাতসারে, ২৯ বৎসর বয়সে তিনি নিত্য পদার্থের অন্বেষণে অনিত্যসংসার পরিত্যাগ করেন। ইনি কয়েক ঘণ্টা কাল অবিশ্রামগতিতে অশ্বচালনা করিয়া, সুৰ্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বে অনোমা নদীতীরে আসিয়া উপস্থিত। হন, ও তথায় অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া, মাণিক্যখচিত আপন অঙ্গের আভরণাদি ছন্দকের হস্তে অৰ্পণ করেন। “তুমি আমার বৃদ্ধ পিতামাতার শোকগাপনোদন করিও” এই কথা বলিয়া সিদ্ধার্থ তাহাকে তথা হইতে বিদায় দেন। যে স্থানে সিদ্ধার্থ ছন্দককে বিদায় দিয়াছিলেন, সেই স্থানকে অদ্যাবধি ছন্দকনিবৰ্ত্তক বলে এবং সেই স্থানে না কি আজিও এক চৈত্য দেখিতে পাওয়া যায়। সুবিখ্যাত চীন পৰ্য্যটক ফাহিয়ন বলেন, “আমি । যখন কুশী * নগরাভিমুখে যাত্রা করিতেছিলাম, তখন পথিমধ্যে একুটী, নিবিড়-ঘন-সন্নিবিষ্ট বিটপী-পরিবেষ্টিত কাননের প্রান্তভাগে এক কীৰ্ত্তিস্তম্ভ । দশন করি ।” ছন্দক প্ৰস্থান করিলে সিদ্ধার্থ নিষ্কণ্টক হন। তিনি তথায় আপনার হস্তস্থিত তরবারির দ্বারা আপন মস্তকের ভ্রমরসদৃশ কৃষ্ণবর্ণ সুচারু

  • কুশীনগর। বৰ্ত্তমান গোরহ্মপুরের পূর্ব-দক্ষিণ ভাগে পঞ্চাশ ক্রোশ অন্তরে স্থাপিত। छिल।