পাতা:জীবনের ঝরাপাতা.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হল— ‘অনেক দিয়েছ নাথ!
আমার বাসনা তবু, পূরিল না।
দীন দশা ঘুচিল না, অশ্রুবারি মছিল না
গভীর প্রাণের তৃষা মিটিল না মিটিল না॥
দিয়েছ জীবন মন, প্রাণপ্রিয় পরিজন
সুধাস্নিগ্ধ সমীরণ, নীলকান্ত অম্বর
শ্যাম শোভা ধরণী॥
এত যদি দিলে সখা,
আরো দিতে হবে হে,
 তোমারে না পেলে আমি
ফিরিব না, ফিরিব না!”

Personal God-এর অনুভূতি নিরাকারত্বে হয় না। যিনি চক্ষুষঃ চক্ষুঃ শ্রোত্রস্য শ্রোত্রং তাঁকে চক্ষুকর্নবান চরণহস্তবান বলে কল্পনায় না আনলে অন্তরে তাঁকে অঙ্গন করে না দেখলে তাঁকে পাওয়াই হয় না। তাই রামমোহন যুগের পরবর্তী ব্রহ্মোৎসবের রবীন্দ্রের ব্রহ্ম বা ঈশ্বর ‘অপাণিপাদ' নন, তিনি ‘সর্বতো অক্ষি’ ‘সর্বত্র শিরোমুখ। তাই তাঁর পরিচালিত ১১ই মাঘে পর পর গাওয়া হয়েছে -

“বড় আশা করে এসেছি গো
কাছে ডেকে লও।
ফিরায়ো না জননি।
আর আমি যে কিছু চাহিনে,
চরণতলে বসে থাকিব,
আর আমি যে কিছু চাহিনে,
‘জননী' বলে শুধু ডাকিব। “
 * * * *
“আজি শুভ দিনে পিতার ভবনে
অমত সদনে চল যাই।”
 * * * *
"সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
শোন শোন পিতা।”

৬৮