পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খুনের পরদিন ክyፃ সূর্য্যোদয়ের অনতিবিলম্বে শোকাৰ্ত্ত অমরেন্দ্রনাথ ফিরিলেন। প্রথমে একটিও কথা তঁহার মুখ দিয়া বাহির হইল না ; ছুটিয়া গিয়া দুই হস্তে মাতুল মহাশয়কে বেষ্টন করিয়া ধরিয়া রোদন করিতে লাগিলেন । র্তাহার দর বিগলিত উষ্ণ অশ্রুধার্যাপাতে দত্ত সাহেবের শোকদগ্ধ বক্ষঃ প্লাবিত হইতে লাগিল । দত্ত সাহেব দেখিলেন, অমরেন্দ্ৰনাথ ও হৃদয়ে অত্যন্ত আঘাত পাইয়াছেন। অমরেন্দ্ৰনাথ, সুরেন্দ্রনাথকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন ; আজি সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যুতে সেই শৈশবের ধূলা-খেলার সুমধুর স্মৃতিগুলি বিষাক্ত শরজালের ন্যায় তাহার হৃদয় বিদ্ধ করিতেছে। অনেকক্ষণ পরে অমরেন্দ্রনাথ তঁহার মাতুল মহাশয়ের প্রশ্নের উত্তর করিলেন, “প্ৰাতে ডাক্তার বেণ্টউডের টেলিগ্ৰাফ পাইয়াই আমি আসিতেছি ; আমি এখানে থাকিলে হয় তা সুরেনকে এমন ভাবে আমাদের शंद्रशे८ऊ श्ट्रेऊ नl !” তীক্ষ্মস্বরে দত্ত সাহেব কহিলেন, “এখন তুমি মিস সেলিনাকে নিৰ্বিয়ে বিবাহ করিতে পরিবে।” ” অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া ভগ্নকণ্ঠে অমরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “ন- আপাততঃ কিছুতেই নহে।” দত্ত সাহেব ক্ষণকালের জন্য স্থিরদৃষ্টিতে অমরেন্দ্রের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন । হঠাৎ কি মনে করিয়া অমরেন্দ্ৰনাথের হাত ধরিয়া টানিয়া সুরেন্দ্ৰনাথের বক্ষের উপরে রাখিলেন। তাহার পর বলিলেন, “প্ৰতিজ্ঞা করি, বল, যতদিন না তুমি সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকারীকে ধরিয়া উপযুক্ত প্ৰতিফল দিবে, ততদিন সেলিনাকে বিবাহ করিবে না ?” অমরেন্দ্ৰনাথ সেই প্ৰতিজ্ঞা করিলেন। সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যু-সংবাদে গ্রামের মধ্যে খুব একটা হুলস্থল পড়িয়া গেল। যে পথিপার্শ্বে সুরেন্দ্ৰনাথের মৃতদেহ পড়িয়াছিল, সেইখানে