পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

沙文 জীবন্মত-রহস্য hans imposissenso মনের অবস্থা ভাল না থাকায়, এবং জুলেখার 'পীড়াপীড়িতে দত্ত সাহেব বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। রুষ্টভাবে কহিলেন, “যা” বলিলাম, বল গিয়া, এখন আমার বেশী কথা কহিবার সময় নাই। কাল আমি তঁহার সঙ্গে দেখু করিব। জুলেখা, আমি সঙ্গজে ছাড়িব না, এই খুনের ভিতরে তোমার অপরাধটা কতদূর, সেটা আজ আমি ভাল করিয়া না দেখিয়া অন্য কাজে হাত দিতেছি না ।” জুলেখা কহিল, “আমি কিছু জানি না, হুজুর।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “তুমি সব জান, আমার এখানে যে ‘চালেনাদেশম” ছিল, তারও খবর তুমি জানি।” জুলেখা কহিল, “চালেন-দেশম” কি, আমি জানি না, হুজুর—আমি কখন দেখি নি।” দত্ত সাহেব দেখিলেন, চতুরা জুলেখার মুখ হইতে কোন কথা বাহির করিবার কোন উপায় নাই। তখন তিনি তাহাকে বিদায় করিয়া দিলেন। জুলেখার সঙ্গে ডাক্তার বেণ্টউডও একবার বাহির হইয়া গেলেন। কিয়াৎপরে ফিরিয়া আসিয়া, বসিয়া এইরূপ অজুহত দেখাইলেন যে, সেলিনার অবস্থা ভাল নহে ; যাহাতে এ সময়ে তাহার উত্তম শুশ্রুষা হয়, সেজন্য তিনি জুলেখাকে সতর্ক করিয়া আসিলেন। তাহার পর কহিলেন, “সেলিনার মানসিক অবস্থা এখন বড়ই বিকৃত হইয়া গিয়াছে ; তাহার উপরে, এই সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যু-সংবাদ সেলিনা শুনিয়াছে। এখন যে সহজে আরোগ্যলাভ হইবে, এমন ত বুঝিতেছি না।” জড়িতবাক্যে অমরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “তবে কি মিস সেলিনা রক্ষা পাইবে না ?” ডাক্তার বেণ্টউড বলিলেন, “রক্ষা পাইবে। কিন্তু তাহার কোমল মস্তিষ্ক চিরকালের জন্য বিকৃত হইয়া যাইতে পারে।”