পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ শেষ রাত্রে কল্য পোষ্ট-মর্টেম পরীক্ষণ হইবার কথা। স্থানীয় পুলিসের ইনস্পেক্টর গঙ্গারাম বসু, দত্ত সাহেবের বাড়ীতে পাহারা দিবার জন্য একজন কনেষ্টবলকে রাখিয়া গিয়াছেন। কিন্তু সেই কনেষ্টবল প্ৰভু মৃতদেহের জন্য এতদূর শ্রমস্বীকার একান্ত অনাবশ্যক বোধে, সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইতেনা-হইতে বাহির বাটীর একটা ঘরে ঢাল বিছানার উপরে নিজের দেহ প্রসারিত করিয়া দিল ; এবং অনতিবিলম্বে তাহার নাসিকা-গর্জন দূরবত্তীস্থান হইতেও পরিশ্রুত হইতে লাগিল । গঙ্গারামের ইনস্পেক্টর-পদূটা কুম্ভকারের স্বর্ণকারের পদপ্রাপ্তির ন্যায় হইলেও তিনি নিজে অতি সাদাসিধে মেজাজের নিরীহ ভদ্রলোক । এমন একটা রহস্যপূর্ণ হত্যাকাণ্ডের ভিতর হইতে হত্যাকারীকে ধূত করিবার কোন একটা সুত্র বাহির করা যে, তাহার ন্যায় নিরীহ ভদ্রলোকের পক্ষে বড় সহজ কাজ নহে, তাহা তিনি নিজে বুঝিতেন কি না, বলিতে পারি না ; কিন্তু তঁহাকে র্যাহারা ভাল রকমে চিনিতেন, র্তাহারা ইহা অতি সহজেই অনুভব করিতে পারিলেন। তবে আমরা ইহা সাহস করিয়া বলিতে পারি যে, খড়-চুরি, গরু-চুরি, এবং ঘটীবাটীচুরি সংক্রান্ত যে কোন রহস্তের উদ্ভেদ করিতে র্তাহার একটা অনন্যসুলভ নৈপুণ্য ছিল । হঠাৎ আজ একটা এমন নূতন রকমের কেসে তাহার শ্বাস রুদ্ধ হইয়া আসিল । তিনি বহু চেষ্টা করিয়াও বিষ-গুপ্তিটার