পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

by জীবন্মত-রহস্য


na -studherbird'

তথ্য কিছুতেই হৃদয়ঙ্গম করিয়া উঠিতে পারিলেন না। সুতরাং সুরেন্দ্ৰনাথের এই আকস্মিক মৃত্যুটা অত্যন্ত জটিল রহস্যময় বলিয়া তাহার অনুভূত হইতে লাগিল। এ রামা শ্যামার খুন নহে-লোকের মতন লোকের খুন, নামজাদা বনিয়াদী ঘরের খুন-এ খুন-রহস্যটা ভেদ করিয়া যদি তিঁনি এখন হত্যাকারীকে ধরিতে পারেন, তাহা হইলে অচিরে যে তাহার নাম মহিমময়, গৌরবময় এবং যশোময় হইয়া চতুর্দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িবে, তাহা গঙ্গারাম সহজেই বুঝিতে পারিলেন বটে ; কিন্তু দুঃখের বিষয় সারাদিনটা কাটিয়া গেল, তথাপি তিনি হত্যাকারীকে গ্ৰেপ্তার করিবার কোন পন্থাই সহজ করিতে পারিলেন না। যাহা হউক, এ হেন গঙ্গারামের হাতে, এ হেন মোকদ্দমা পড়ায় আর কাহারও কিছু না হউক, যিনি হত্যাকারী, তিনি যে এ সংবাদ শ্রবণে মনে মনে পরম সন্তুষ্ট ও আহিলাদিত হইলেন, এবং মনে মনে বিধাতাকে অজস্র ধন্যবাদ দিতে লাগিলেন, তাহা আমরা শপথ করিয়া বলিতে পারি। রাত দশটা না বাজিতেই অমরেন্দ্ৰনাথ নিজের ঘরে গিয়া শয়ন করিয়াছেন। সারাদিন দারুণ উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগের সহিত যুদ্ধ করিয়া করিয়া তিনি ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন ; সুতরাং শয়নমাত্রেই তাহার নিদ্ৰাকর্ষণ হইল । দত্ত সাহেব স্থির করিলেন, লাইব্রেরী ঘরে সে রাত্রিটা অতিবাহিত করিবেন। তঁহার শোকোন্দ্বেলিত হৃদয়-সমুদ্র মথিত হইয়া, প্ৰতিহিংসার ভীষণ বাড়বানল প্ৰজ্বলিত করিয়া তুলিয়াছিল। এখন তাহার চক্ষে নিদ্রা নাই, অশ্রু নাই-তঁাহার সেই নিরীশ্রী চক্ষুদ্বয় হইতে যেন একটা অগ্নিময় জ্বলন্ত শিখা সতত বাহির হইতেছে। রাত যখন একটা, তখন দত্ত সাহেব বাহিরে গিয়া কনেষ্টবলকে জাগাইলেন। তাহার সহিত দুই-একটা কথা কহিয়া, তিনি যে কক্ষে