পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তর্ক-বিতর্ক S 88 yQ দ্য । যাহারা সুরেন্দ্ৰনাথকে হত্যা করিয়াছে, আমার বিবেচনায় তাহারাই সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহও চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছে। গ। কেমন করিয়া তাঁহা হইবে। তাহারা মনে করিলে, যে রাত্রে সুরেন্দ্রনাথকে খুন করে, সেই রাত্রেই তা লাস গোপন করিয়া ফেলিতে পারিত । সাধা করিয়া নিজেদের জীবনকে বিপদাপন্ন করিতে তাহাদৈর এ দুঃসাহসিকতার পুনরাভিনয়ের কোন আবশ্যকতা ছিল না। দ। হত্যাকারীরা আগে সে কথা ভাবে নাই, বোধ হয়। মৃতদেহ গোপন করার কল্পনাটা পরে তাহদের মাথায় উঠিয়া থাকিবে । গ। এ রকম একটা ভয়ানক হত্যাকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করিতে হইলে পরে কি করিবে- কি না করিবে, সে কথা লোকে আগেই ভাবিয়া ঠিক করিয়া রাখে। যা’ই হোক, ইতিমধ্যে যদি আমি হত্যাকারীদের কোন সন্ধান সুলভ করিতে পারি, তখনই আপনাকে জানাইব। কিন্তু যতক্ষণ না রহিম প্ৰকৃতিস্থ হইতেছে, ততক্ষণ সন্ধান-সুলভের আর কোন সুবিধা হইবে বলিয়া আমার তা বোধ হয়, না । “রহিম । রহিম আমার খুব বিশ্বাসী, সে কখনই এ বিশ্বাসঘাতকতা করিবে না, তাহাকে আমি খুব জানি।” এই বলিয়া দত্ত সাহেব আসন ত্যাগ করিয়া উঠিলেন। সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গারামও উঠিলেন, এবং দত্ত সাহেবের সহিত থানার বাহিরে আসিলেন। থানার সম্মুখে দত্ত সাহেবের গাড়ী দাড়াইয়া ছিল। দত্ত সাহেব গঙ্গারামের নিকট হইতে বিদায় লইয়া নিজের গাড়ীতে উঠিয়া বসিলেন। গাড়ী বাড়ীর দিকে চলিল ।