পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য palaeagnas গফুরের মা নামী দত্ত সাহেবের কোন পরিচারিকা দিন রাত রহিমের সেবা করিতেছে। রহিমের উপর তাহার একটু টান ছিল। সে অনেকটা পরিমাণে রহিমের দুঃখে দুঃখী,-সুখে সুখী, সুতরাং সেবা শুশ্রুষার কোন ক্ৰটী হইতেছে না। যদিও গফুরের মার বয়স গিয়াছে, যদিও তাহার দেহখানি অদৃষ্টপূৰ্ব্ব স্থূল—এবং সেই দেহের বর্ণ তাহার কৃষ্ণচক্ষুঃ এবং কৃষ্ণকেশের ন্যায় নিবিড়-তথাপি রহিমের চোখে সে সমুদয় বড়ই । মধুর বলিয়া বোধ হইত। এবং তাহার তীব্ৰকণ্ঠ অন্যের নিকটে শ্রুতিকটু হইলেও রহিমের কৰ্ণে তাহা অমৃতবর্ষণ করিত-সে। বর্ষণে নিষ্ঠীবন নামক একটা বস্তুও সকল সময়ে মিশ্রিত দেখিতে পাওয়া যাইত। হায় ! আজি যদি হতভাগ্য রহিম একেবারে অজ্ঞান হইয়া না পড়িত, তাহা হইলে গফুরের মাকে তাহার রুগ্নাশয্যায় বসিয়া, এরূপভাবে সেবা-শুশ্ৰষা করিতে দেখিলে এবং সেই স্নেহহন্তের কিশলয়ুস্পর্শে সে কতই না সুখানুভব कब्रिउ !