পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vò a জীবন্মত-রহস্ত পূৰ্ব্বাপেক্ষা আরও যেন একটু উগ্ৰ বলিয়া বোধ হইল। রহিমের মস্তকের ক্ষতস্থান ব্যাণ্ডেজ করা ছিল, বোধ হইল, তথা হইতেই সেই গন্ধটা বাহির হইতেছে। তখন তিনি ব্যাণ্ডেজের বস্ত্ৰখণ্ড বিশেষ মনোযোগের সহিত দেখিতে লাগিলেন । দেখিলেন, ব্যাণ্ডেজের বস্ত্ৰখণ্ডের ভিতর হইতে একখানি রেশমী রুমালের একটি কোণের খানিকটা দেখা যাইতেছে। দেখিয়া তিনি শিহরিয়া উঠিলেন। গফুরের মাকে সেই রুমালের কোণ দেখাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ রুমাল এখানে কোথা হইতে আসিল ?” গফুরের মা বলিল, “তা” আমি জানি না, এ ঘরে যখন রহিমকে আনা হয়, তখন থেকেই ঐ রুমাল ব্যাণ্ডেজের সঙ্গে রহিয়াছে। ডাক্তার সাহেব ব’লে গেছেন, এখন যেন ও ব্যাণ্ডেজে হাত দেওয়া না হয়তা’ হ’লে রহিমকে নিয়ে বড় মুস্কিলে পড়তে হবে। দত্ত সাহেব সে কথা কাণে না করিয়া ধীরে ধীরে রহিমের মস্তকের বাণ্ডেজ খুলিতে লাগিলেন। মনে করিলেন, সেই রুমালখানি কাহার জানিতে পারিলে, আপাততঃ এই অনুদঘাটীত হত্যা-রহস্যের মৰ্ম্মভেদ করিবার একটা সূত্রও পাওয়া যাইতে পারে। দত্ত সাহেবের কাৰ্যকলাপ দেখিয়া গফুরের মার মুখ ভয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হইয়া গেল। তাহার মনিব যে কাৰ্য্য করিতেছেন, তাহা একান্ত অন্যায় বুঝিয়াও সে সাহস করিয়া কোন কথা মুখ ফুটিয়া বলিতে পারিল না। সে কেবল ভীতিবিহবল দৃষ্টিতে দত্ত সাহেবের হাতের দিকে চাহিয়া রহিল। ক্ষণকাল মধ্যে দত্ত সাহেব ব্যাণ্ডেজ খুলিয়া সেই রেশমী রুমালখানা বাহির করিয়া লইলেন। সেই রুমালখানির স্থানে স্থানে শুষ্ক রক্তের দাগ এবং কোণে লাল সুতায় সেলিনার মা’র নাম লিখিত রহিয়াছে, দেখিয়া দত্ত সাহেবের বুকের মধ্যে উত্তপ্ত রক্ত ফুটিতে লাগিল। A.