পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झम्भध-ब्रश्ट N O R যখন বুঝাইয়া বলেন, তুখন তিনি সে রাত্রের সকল কথাই তাহার নিকটে প্ৰকাশ করেন । s বোধ করি, আমি যে আপনাদের বাড়ীতে রুমাল ফেলিয়া আসিয়াছিলাম, তাহা ডাক্তার বেণ্টউড অনুভবেই বুঝিতে পারিয়াছিলেন ।” এই বলিয়া সেলিনা জুলেখার দিকে দ্রুতপদে চলিয়া গেল ; সেলিনার কথার ভাবে এবং এক-একবার ইতস্ততঃ করায় দত্ত সাহেব মনে মনে বুঝিতে পারিলেন, সেলিনা তাহার নিকটে কিছু গোপন করিবার চেষ্টা করিতেছে। যাহাই হউক, সেলিনার দিকে সন্দিগ্ধদৃষ্টিতে চাহিতে চাহিতে ধীরুপদে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। দত্ত সাহেব মনে করিয়াছিলেন, সেলিনা তাহার প্রণয়-পাত্ৰ সুরেন্দ্ৰনাথের হত্যার প্রতিশোধ লইতে হত্যাকারীর সন্ধানে তাহার। আর কোন সাহায্য করুক বা না করুক, সেলিনা অকপটভাবে তাহার নিকটে সকল কথা প্ৰকাশ করিবে। কিন্তু, সেলিনার এখনকার কথার ভাবে দত্ত সাহেব সহজেই বুঝিতে পারিলেন, সেলিনা যাহা জানে, তাহার মধ্যে অনেক কথা ভুমাজ তাহার নিকটে ঢাকিয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছে। ইহাতে বোধ হয়—জুলেখার উচ্চকণ্ঠে সহসা দত্ত সাহেবের চিন্তাম্রোতে বাধা পড়িল। তখন তিনি জুলেখার সম্মুখীন হইয়াছেন। জুলেখা বলিল-তাহার তীক্ষদৃষ্টি দত্ত সাহেবের মুখের উপরে স্থাপন করিয়া বলিল, “হুজুর, সেলিনার মুখে শুনলেম, আপনি আমাদের দেশের কাউরাপীর কথা শুনতে চান। কিন্তু এ দেশের আর সকলেই আমাদের কঁাউরূপীকে হেসে উড়িয়ে দেয়।” দত্ত সাহেব। আশাতিরিক্ত গম্ভীরভাবে কহিলেন, “না, আমি তোমাদের কঁাউরূপীর কোন কথা শুনতে চাই না। তুমি যে ঔষধ তৈয়ারী করিয়া তোমার মনিবদের রুমালে লাগাইয়াছিলে, আমি কেবল সেই ঔষধের কথা জানিতে চাই ।” 0